আমাদের নদীগুলো রক্ষা করতেই হবে : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

0
636
নদীমাতৃক বাঙলাদেশের সকল নদ- নদী সুরক্ষায় আমাদে করণীয় সর্ম্পকে নদী নিরাপত্তার মূখপত্র নোঙর'র বিশেষ স্বাক্ষাতকারে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক । ১২ মে ২০১১ সাল রাত ৮: ৩০ মিনিটে নোঙর সম্পাদক সুমন শামস এই বিশেষ স্বাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেন। ছবি : সাইফ সুমন

বর্তমানে নদীর যে অবস্থা, বিশেষ করে এখন ঢাকা শহরের বসবাস করে আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর যে অবস্থা লক্ষ্য করি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। কেন নদীর আজকে এই অবস্থা? নদী কেন সজীব থাকছে না? নদী কেন মারা যাচ্ছে? এর কারণগুলো কী- আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কিছু মানুষের লোভ-লালসা, কিছু মানুষে দুর্বিনীত আচরণ, কিছু মানুষের নদীর প্রতি অন্যায় নির্যাতন আচরণ এসব কারণেই কিন্তু নদীর আজ এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

সুমন শামস : আপনার শৈশবের নদীরা কেমন ছিল?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীমাতৃক দেশ বলেই আমরা নদীকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলের মানুষ সবাই কিন্তু নদীর কাছাকাছি বসবাস করে। কোন অঞ্চলের মানুষ কিন্তু বলতে পারবে না যে তারা নদী থেকে বেশি দূরে। হয়তো কোন লোকালয়ে নদী নাই কিন্তু কাছাকাছি কোথাও নদীর অবস্থান আছে। এ কারণে এই দেশের মানুষ বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা শৈশব থেকেই নদীর সাথে পরিচিত। আমার শৈশবের নদী ঘিরে বহু স্মৃতি আছে। আমরা যখন শহর থেকে নানাবাড়ি যেতাম এবং মেঘনা নদী পাড়ি দিয়েই আমরা সেখানে গিয়েছি। আমার বাবা যেহেতু সরকারি চাকরিতে ছিলেন, সেই কারণে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং এসব জায়গাতেই যখন যেখানে গিয়েছি নদীর কাছাকাছি আমরা অবস্থান করেছি। যমুনা নদীর কাছে, রূপসা নদীর কাছে, কর্ণফুলী নদীর কাছে এবং এই নদীর স্মৃতি আমার শৈশবের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে।

সুমন শামস : রাজধানীর নদ-নদীর এ অবস্থার জন্য দায়ী কে?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক :
বর্তমানে নদীর যে অবস্থা, বিশেষ করে এখন ঢাকা শহরের বসবাস করে আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর যে অবস্থা লক্ষ্য করি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। কেন নদীর আজকে এই অবস্থা? নদী কেন সজীব থাকছে না? নদী কেন মারা যাচ্ছে? এর কারণগুলো কী- আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কিছু মানুষের লোভ-লালসা, কিছু মানুষে দুর্বিনীত আচরণ, কিছু মানুষের নদীর প্রতি অন্যায় নির্যাতন আচরণ এসব কারণেই কিন্তু নদী আজকে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

সদরঘাটে যখন আমরা জাহাজে ওঠার জন্য বুড়িগঙ্গার তীরে যাই, তখন এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যে, নাকে রুমাল না এঁটে যাওয়া যায় না এবং যতক্ষণ জাহাজটি না ছাড়ছে ততক্ষণ যাত্রীদের ও ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। এটি কেনো বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘটবে? যে বুড়িগঙ্গা ঢাকার পাশে এবং ঢাকা হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী এবং এই রাজধানীতে এই দেশে যারা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী তারা বাস করেন এই রাজধানীতে।

সুমন শামস : মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের জাতীয় শ্লোগানে ছিল; ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ সেই ঠিকানা আজ হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : এটা হয়েছে। কারণ এই দেশে বহুদিন আইনের শাসন ছিল না। বহুদিন গণতন্ত্র অনুপস্থিত ছিল এবং সেই সুযোগে এক ধরনের লোভী, এক ধরনের সন্ত্রাসী তারা নদীকে অবৈধভাবে দখল করেছে; নদীর তীরকে অবৈধভাবে দখল করেছে। নদী দখল হয়ে যায় নদীর তীর দখল হয়ে যায়- এ কথা কি পৃথিবীর কোন দেশের কোন মানুষ শুনেছে? কিন্তু আমরা অত্যন্ত বেদনার সাথে এই ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করেছি।

আর শিল্প কারখানাতো সারা পৃথিবীতেই গড়ে তোলা হয়েছে। শিল্প-কারখানার বর্জ্য রিফাইন্ড করে শিল্প কারখানার দূূষিত বর্জ্য সরিয়ে সেটি নদীতে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এই দেশে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি এখন পর্যন্ত এই দেশের শিল্প কারখানার যারা মালিক তারা এই বিষয়ে একেবারেই অসচেতন এবং তাদের শিল্প-কারখানার সমস্ত বর্জ্য নদীতে বা জলাশয়ে ফেলে দিচ্ছে। এভাবে নদীকে বাঁচানো যাবে না। আমাদের নদীগুলো রক্ষা করতেই হবে। নদীর যে নেটওয়ার্ক, নদীর যে প্রবাহ, নদীর পানি- এগুলোই আমাদের কাছে বিশাল সম্পদ। এই দেশের শুকনো এলাকার সাধারণ মানুষের আধার ছিল নদীর পানি।

আমরা আশা করবো, আমাদের নদ-নদীগুলো আবার আগের মতো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। আমরা নদীকে ভালবাসবো। নদীর সাথে আমাদের দেশের নদীমাতৃক যে সম্পর্ক, সে নদীমাতৃক সম্পর্ক আবার সক্রিয় করে তুলবো, সচল করবো, সতেজ করবো এবং নদীগুলোকে রক্ষা করার জন্য যার যে দায়িত্ব পালনের কথা; সেটা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, একজন সাধারণ নাগরিকের পক্ষে থেকে হোক, একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থেকে হোক সে দায়িত্ব আমরা পালন করব।

সুমন শামস : আগামী প্রজন্ম কীভাবে নদীর কথা জানবে?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক :
নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের, স্কুলের ছেলেমেয়েদের, প্রাথমিক পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের নদীর সাথে পরিচয় ঘটতে হবে। নদীগুলোকে কীভাবে সুরক্ষা করা যায় সেই বিষয়গুলো তাদের মিলিতভাবে জানাতে হবে। এভাবে আবার আমরা আমাদের সেই শৈশবে যে নদীগুলো দেখেছি, তা পুনরায ফিরে পাব।

সুমন শামস : নৌপথের নিরাপত্তায় আমাদের করণীয় কী?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : যেহেতু বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ সেই কারণে নিজেদের জন্য নৌপথ হচ্ছে সবচেয়ে সহজে চলার পথ। কারণ নদীর যে নেটওয়ার্ক সারা দেশকে ঘিরে আছে; সেটাকে যদি আমরা সবসময় সচল রাখি। কারণ আমাদের নদীপথে যে নৌকা, জাহাজ, লঞ্চ, স্টীমার আছে সেগুলোকে যদি আমরা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করি সাধারণ মানুষের প্রতি যদি ব্যবহার করা যায় এবং একই সাথে নৌ-পরিবহনের যে ঝুঁকিগুলো থাকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সঠিক সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যে যন্ত্র, ইন্সট্রুমেন্ট, ইকুইপমেন্ট যেগুলো থাকে সেগুলোকে যদি সঠিক জায়গায় সংযুক্ত করা যায় তাহলে আমাদের এই নৌপথ আরো অনেক বেশি নিরাপদ হবে। এই নিরাপদ নৌপথে ভ্রমণের জন্য আমি নিশ্চিত যে, সাধারণ মানুষ অনেক বেশি আগ্রহী হবে। যেহেতু লঞ্চ, লঞ্চে যদি আমরা নৌপথে ভ্রমণ করি; তাহলে আমাদের যে ভ্রমণ-ক্লান্তি সেই ক্লান্তি একেবারে দূর হয়ে যাবে। কিন্তু অন্যান্য যে রেলপথ বা সড়কপথ সেগুলোতে ভ্রমণ-ক্লান্তি অনেক বেশি।

নদীতে ভ্রমণের সময় মানুষ অনেক বেশি সতেজ থাকে। সেই কারণে নৌপথের যে বিড়ম্বনাগুলো আছে সেই বিড়ম্বনাগুলো দূর করতে হবে এবং নৌপথকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নৌপথের মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে হোক কিংবা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে হোক নৌপথ অনেক বেশি সুলভ; অনেক বেশি আনন্দদায়ক। এই নৌপথের যে ঐতিহ্য ছিল, সেই ঐতিহ্য যদি আবার ফিরিয়ে দিতে পারি আমরা, ফিরিয়ে দিতে চাই; তাহলে আমার ধারণা অন্যান্য যে পথ বিশেষ করে সড়কপথের যে দুর্ঘটনা ঘটছে সেই দুর্ঘটনা অনেকটাই লাঘব হবে। অনেকাংশে কমে আসবে যদি সঠিকভাবে নৌপথ ব্যবহার করা হয়।

প্রতিবছরই আমরা বেশকিছু ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনার চিত্র দেখি। এই দুর্ঘটনাগুলো অনেক সময় সাধারণ মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে। অনেক সময় মানুষ, বিশেষ করে সাধারণ যাত্রীরা নৌপথ পরিহার করে সড়কপথ কিংবা অথবা রেলপথ অবলম্বন করে। সড়কপথের যে দুর্ঘটনা সেটি আমরা দেখি। প্রতিদিনই বহু ধরনের দুর্ঘটনার সংবাদ আমরা দেখি। সেই কারণে যদি আমরা নৌপথকে নিরাপদ করতে পারি এবং দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ‘২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস’-এর জন্য একটি বিধিমালা প্রণয়ন এবং সেই বিধিমালা অতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন আবশ্যক। এই হোক প্রত্যয়। সেটি যদি করা যায়, সাধারণ মানুষের মাঝে যদি নৌপথের, নৌ-পরিবহনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে আমার ধারণা নৌপথে দুর্ঘটনায় যাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে তারা আবারও নৌপথে যাতায়াত করবে এবং ব্যবসায়ীদেরকে নৌপথ ব্যবহারের মাধ্যমে অতিমাত্রায় ব্যবসা করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সুমন শামস : সমগ্র বাংলাদেশের নৌপথের যাত্রীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : নৌপথের যাত্রীদের প্রতি আমার পরামর্শ, যে আপনারা নিজেরাই এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন; নিশ্চিত করতে পারেন এভাবে, যে আপনারা নৌপথে জাহাজে বা লঞ্চে উঠার আগে জাহাজের নোটিশ বোর্ডে দেখে নিবেন যে, এই লঞ্চ বা জাহাজটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা কত? এবং সেই যায়গায় যাত্রী বহন করা হচ্ছে কতো? যদি দেখেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন করা হচ্ছে; ঠিক সেই সময়ই উক্ত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড অথবা নৌ-পুলিশ যারাই দায়িত্বে থাকুক- যদি যাত্রীসেবার দায়িত্ব থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবেও অনেক দুর্ঘটনা থেকে এড়ানো যায়।

অনেক সময় আমরা নিজেরাও লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠে পড়ি। মনে করি যে, আমার একার জন্য কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু গভীর রাতে মাঝ নদীতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটবে না সেটিই বা কে জানে? একটি লঞ্চ দুর্ঘটনার সংবাদ যখন আমরা দেখি তখন, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানা যায় যে, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা। প্রতিদিন রাজধানী থেকে অসংখ্য নাগরিক নৌপথে যাতায়াত করছে। সেই ক্ষেত্রে যদি আমরা নিজেরাই সতর্ক থাকতে পারি আমরা নিজেরাই যাত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।

সুমন শামস : নোঙর-এর করণীয় সম্পর্কে আপনার দিক নির্দেশনা চাই।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক :
নোঙর অনেক প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে। এমন একটি এজেন্ডা তারা বেছে নিয়েছে যেটি সাধারণ মানুষের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। নোঙর-এর সাথে যারা আছেন- তাদেরকে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি ক্ষেত্রে তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিচরণ করছেন। আমি আশা করবো যে, নোঙর বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতার কাজ, যেমন মতবিনিময়, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ক্যাম্পেইন ও প্রচারাভিযান বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণকে নদী সচেতন করে তুলবে। নদী সচেতনতা আসলেই নৌ-পরিবহন সচেতনতা আসবে; নদীর পানি সচেতনতা আসবে এবং একই সাথে পরিবেশ সচেতনতা আসবে। পরিবেশ সচেতনতা যদি একটা মানুষের মাঝে একটা সমাজের মধ্যে সৃষ্টি করতে পারি তাহলে দেখা যাবে শুধু নদী কেনো নদী, পাহাড়, পর্বত, জমি সর্বস্তরে নদী সচেতনতার প্রভাব পড়বে।

সুমন শামস : আমরা ২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস বিষয়ে আপনার মতামত কি?

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : জাতীয নৌ-নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ‘২৩ মে নৌ-নিরাপত্তা দিবস’ ঘোষণার দাবি খুবই যুক্তিযুক্ত একটি দাবি। আমি মনে করি যে, বাংলাদেশ সরকার এই দাবি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করবেন। আমাদের দেশে একটি দিবস প্রতিষ্ঠা এবং ঘোষণা হলে সেই দিবসটিতে আমরা সারাদেশের নদী নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারি এবং এর মাধ্যমে সারাদেশে আরো বেশি নদী ও নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সারা পৃথিবীতেই এ প্রক্রিয়া আমরা দেখি জাতিসংঘের অধীনে প্রায় প্রতিটা দিন কোনো না কোনো দিবস হিসেবে পলিত হচ্ছে। এই যে দিবস হিসেবে উদযাপন হচ্ছে এর কারণ কী? কারণ হলো একটি যে, বিশ্ববাসীকে যে দিবস পালিত হচ্ছে, সেই দিবস হিসেবে সংযুক্ত করা, সম্পৃক্ত করা এবং সেই দিবসটির সম্পর্কে বিশ্ব সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে নৌ-নিরাপত্তা বিষয়ে আরো বেশি সচেতন করে তোলা।

সুমন শামস : নোঙর-এর পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে