


ঢাকা, শনিবার, ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : এশিয়ার অন্যতম শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন হয় আজ শুক্রবার সকালে। সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন শুরু হয়েছে রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ঘিরে। শিল্প ও স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং দেশের শিল্পকর্ম আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তুলে ধরতে দুই বছর পর পর এ আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। শিল্পী, শিল্পপ্রেমী এবং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আর্ট সামিটের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান ও সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানী।
প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ৩৫ দেশের তিনশতাধিক শিল্পী। এবারের এ প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে ইরান ও তুরস্কের শিল্পী ও তাদের শিল্পকর্ম। এতে ১২০ জনেরও বেশি বক্তার অংশগ্রহণে শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে থাকছে ১৬টি প্যানেল আলোচনা ও দুইটি সিম্পোজিয়াম। রয়েছে এশীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর অন্যতম পুরানো প্ল্যাটফর্ম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উপর একটি বিশেষ প্রদর্শনী। যেখানে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী সফিউদ্দিন আহমেদ, এম এম সুলতানসহ অন্যান্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এবারের সবথেকে বড় আগ্রহের জায়গা বাংলাদেশের তরুন ১১ শিল্পীর বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, ভিডিও আর্ট ছাড়াও রয়েছে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের অংশগ্রহনে মাল্টিস্টেজ পারফরম্যান্স, যা এবারের ঢাকা আর্ট সামিটের বিশেষ আকর্ষণ। জাতীয় উন্নয়নকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করার জন্য রয়েছে শ্রীলঙ্কার অজানা শিল্পকলার ইতিহাস।
এবারও প্রদান করা হচ্ছে সামদানি আর্ট এ্যাওয়ার্ড। সামদানি আর্কিটেকচার এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মাকসুদুল করিমের নকশায় এবার প্রথমবারের মতো রয়েছে এডুকেশন প্যাভিলিয়ন। শিল্প ও স্থাপত্যকে নতুনভাবে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য রয়েছে আন্তঃবিষয়ক কর্মশালা। সব মিলিয়ে এবারের সামিটে ৫৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে। শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক সহযোগিতায় সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত এবারের এ ঢাকা আর্ট সামিটের আয়োজনের সহযোগীতা করছে বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথোরিটি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।