আমাদের দেশে যে তিমি আছে এটা অনেকের জানা নেই

0
566

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, (নোঙরনিউজ) : আজকে হচ্ছে ইসাবেলার প্রতিষ্ঠাতা এবং যার নামে এই ফাউন্ডেশন সেই সৈয়দা ইসাবেলার জন্মদিন। সেই উপলক্ষে আমাদের ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আসলে এটা খুবই নতুন একটা সংগঠন। যদিও আমরা পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ শুরু করেছি অনেক আগেই। বিশেষ করে আমাদের ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের দুটো কাজ। একটা হচ্ছে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমরা চ্যারাইটি যেগুলোকে আমরা বলি সমাজ সেবামূলক সেচ্ছা সেবায় কাজ করা।যেমন অরফানেন্স করা, বৃদ্ধাশ্রম করা প্রতিবন্ধি বা সুবিধা বন্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা। এগুলো কাজ আমরা করছি বেশ কিছু দিন থেকে।

আজকে আমাদের যে অনুষ্ঠান হবে সেখানে আমাদের যে কর্মী বাহিনী কাজ করে মাঠে তাদের তোলা ছবিগুলো আছে। আর সেই সাথে আমাদের যে কাজ গুলো হয়েছে তার কিছু অডিও ভিজু্য়াল প্রেজেন্টেশন হবে।আমাদের অতিথি হিসাবে রয়েছেন আমাদের আব্দুল্লাহ আবু সাইদ স্যার, সকলের স্রোদ্ধাভাজন, তার পরে রয়েছন ড. আইনুন নিশাত এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি কোর্ডিনেটর জনাব আবুল কালাম আজাদ ওনাদের সামনে আজকে আমাদের আলোচনাগুলো এবং প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করব।
তো মোটা দাগে এটা বলা যায় যে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্রথম কিন্তু কাজগুলো তুলে ধরা। আসলে আজকের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা।

নোঙর : আমরা জানি যে, কিছু দিন আগে একটা অনুষ্ঠান ছিলো সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডে। অদ্ভুত একটা গবেষণায় আপনারা গিয়ে ছিলেন। সে সম্পর্কে যদি কিছু একটা বলেন।

কিবর বিন আনোয়ার : সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশর একেবারে সুন্দরবনের দক্ষিণে ওখানে একটা গভীর গিরিখাত শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক গভীর গিরিখাত। এতো গভীর যে এটার কোথাও কোথাও তলা খুজে পাওয়া যায় না। সানার মেশিন কাজ করে না। তো সেই কারণে এটাকে নো গ্রাউন্ড বলে, সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড। এবং এটা সুদুর জাপানর সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত।

আমরা আমাদের বাংলাদেশের অংশে, যে আংশটুকু আমাদের টেরিটোরির মধ্যে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ফাইন্ডিংসের মধ্যে যেমন তিমি, আমরা জানি যে আমাদের দেশে যে তিমি আছে এটা অনেকের জানা নেই।এবং সেই সাথে বিভিন্ন প্রজাতির ডলফিন এবং আরো নানা জাতের মাছ, সেখানে সমুদ্র তলদেশ কি আছে এখনো আমরা জানি না। কারণ গভীরতা এতো বেশী যে ডুবুড়ি নামা খুব মুশকিল। ডুবুড়ি নামা যায় না। তো আমাদের এখানে সেই টেকনোলজি নেই। অথবা আমাদের এখানে যান, যেটা সমুদ্রের নিচে গিয়ে কাজ করতে পারে সেইগুলো। তো আসলে আমরা আমাদের ডুবুড়িরা তিনটা জায়গায় ড্রাইভ করেছেন। যেমন সেখানে সয়েল স্যাম্পল আনা হয়েছে। সেখানে জুডুপ্লান্টন এবং ফাইবপ্লান্টন আমাদের কি পরিমান আছে সেটা দেখা এবং নদীর তলদেশে, সাগরের তলদেশে আর কি কি পাওয়া যায়। অজানা জগত। আসলে একটা ছোটখাটো অভিযানে তো আর এটা বের হয় না, আমাদের অনেক সময় লাগবে। তবে বলা যেতে পারে একটা আইস ব্রেক হয়েছে। শুরুটা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে