


মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পচা মিয়ার বয়স এখন ৮২ বছর। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম তালিকায় স্থান পায়নি। জীবনের শেষ সময়ে তাকে সংসার চালাতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হাত পেতে ভিক্ষা করে। অর্থাভাবে তিনি অসুস্থ স্ত্রীর চিকিত্সাও করাতে পারছেন না।
স্বাধীনতার পর কয়েকদফা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হলেও আর্থিক টানাপোড়েন ও তদবিরের অভাবে কেউ তার নাম তালিকাভুক্ত করেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনিজকরা গ্রামের পচা মিয়া ২নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অধিনায়ক মেজর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী তাকে রণাঙ্গনের একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমিল্লা ইউনিটের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বাবু প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানসহ বিভিন্নজনের প্রত্যয়নপত্র, সুপারিশ ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান পায়নি।