‘মঙ্গলের শহর’ বানাচ্ছে দুবাই

0
572
‘মঙ্গলের শহর’ বানাচ্ছে দুবাই। ছবি : ইর্ন্টানেট

মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় মার্কিন সংস্থা নাসা যেখানে পৌঁছেছে সেখানে পৌঁছানোর কল্পনাও হয়তো এই মুহূর্তে অন্য কেউ করতে পারবে না। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে বরাবরই কৌতূহলী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবার একটি বিষয়ে নাসাকে টেক্কা দিতে চাইছে। আর তা হচ্ছে ‘মঙ্গলের শহর’। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এই গ্রহে যদি মানুষ বাস করতে পারত, সেখানকার শহরগুলোতে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন হতো, তা হাতেকলমে মানুষকে দেখাতে চাইছে দুবাই। আর এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকবেন আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেই।

মাত্র ২০১৪ সালে ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত মহাকাশ সংস্থা’ গঠন করা হয়েছে। পরের বছর স্থাপন করা হয় মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার। এটুকু সময়ের মধ্যেই এই স্পেস সেন্টার দেশে তৈরি দুটি স্যাটেলাইট উেক্ষপণ করেছে। তবে এখানেই সন্তুষ্ট না থেকে দুবাই নজর দিয়েছে লাল গ্রহ মঙ্গলের দিকে। ২০২০ সাল নাগাদ মঙ্গলে যান পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। আর ভবিষ্যতে সেখানে মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

কেমন হবে মঙ্গলে সেই মানব বসতি? কেমন হবে সেই শহরগুলো? এসব প্রশ্নের জবাব হাতে কলমে দিতে মরুভূমির বুকে দুবাই কর্তৃপক্ষ স্থাপন করতে যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহের কল্পিত সেই শহরের এক ‘সিমুলেশন’। এর নাম দেয়া হবে ‘মার্স সায়েন্স সিটি’। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। প্রায় ২০ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে হবে এই মঙ্গলের শহর। শহরের স্থাপনাগুলো তৈরি করা হবে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে। এই শহরটি শূন্য থেকে অনেকটা সারি সারি গম্ভুজের মতো মনে হবে। নাসার বিজ্ঞানীরাও মঙ্গলের শহরের এ জাতীয় ‘দালানকোটা’ই কল্পনা করেছেন। কারণ মঙ্গলে খোলা পরিবেশে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার মত পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় অক্সিজেন যুক্ত কৃত্রিম বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে ওই শহরে। দুবাইয়ের ‘মার্স সায়েন্স সিটির’ ভেতরের পুরোটাই থাকবে কৃত্রিম অক্সিজেনসহ মঙ্গলের মতোই সব ব্যবস্থা। অর্থাত্ এর ভেতর গেলে আসল মঙ্গল গ্রহে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা হুবহু পাওয়া যাবে। এই শহরের গাছপালাও জন্মানো হবে এবং বাঁচিয়ে রাখা হবে কৃত্রিম আলো বাতাসেই। কর্তৃপক্ষ বলেছে, এটা হবে বর্তমানে বসে ভবিষ্যত্ দর্শনের ব্যবস্থা। -সিএনএন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে