সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করাই হবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ : তথ্যমন্ত্রী

0
349
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিরে (ডিআরইউ) আয়োজনে সংস্থার সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ। ছবি: ইত্তেফাক

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ (নোঙরনিউজ): তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নতুন সরকারে তাঁর মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই হবে তাঁর মন্ত্রণালয়ের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, যৌথ দায়িত্বশীলতা এবং সংবাদকর্মিদের কল্যাণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি আজ সাগর-রুনী মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সাংবাদিকদের আবাসনের কথা বলা হয়েছে এবং ‘যথাসম্ভব আমরা তা করব’।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করাকে তার মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে কিন্তু সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আরও কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে একটি মন্ত্রীসভা কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিন্তু নতুন সরকার গঠনের কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনাসহ ওই কমিটি পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘নতুন মন্ত্রীসভা কমিটি বিষয়টি আলোচনা করবে। আমরা তখন আপনাদের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করব, খুব সম্ভবত ২৩ জানুয়ারি এবং তারপর অন্যান্য পক্ষের সাথেও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রক্রিয়াটির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে আরও কিছু ধাপ পেরোতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেল চালু হওয়ায় সেগুলোকে ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

ডিআরইউ’র সভাপতি ইলিয়াস হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিবেদকরাই গনমাধ্যমের প্রাণ। তিনি বলেন, ‘শুধু একটি প্রতিবেদন অথবা একটি ভিডিও ক্লিপ সমাজের তৃতীয় চক্ষু খুলে দিতে পারে।তাই সঠিক তথ্যসহ একটি ভালো প্রতিবেদন প্রকাশ খুবই গূরুত্বপূর্ন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, তার (তথ্যমন্ত্রী) প্রতি আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতো স্পর্শকাতর দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুবই আন্তরিকতার সাথে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমার প্রয়োজন এবং আমার দায়িত্ব পালনে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময়ই সাংবাদিক বান্ধব।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের কাজের সমালোচনা করার অধিকার সবারই রয়েছে, ‘কিন্তু আমরা আশা করি সমালোচনা গঠনমূলক হবে, যাতে রাষ্ট্র বিভ্রান্ত না হয়। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।’

তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যম কর্মি (চাকুরির শর্তাবলী) আইনের জন্য কাজ করবে এবং ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নিয়ে উদ্বেগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমসহ দেশের গণমাধ্যমে বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়েছে এবং ‘সামজিক গণমাধ্যম ভালো করছে’।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে বহু সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে এবং সেগুলোর বিকাশের জন্য যথাযথ দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এই খাতের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে