পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গোর উদ্ধারকাজ এখনো শুরু হয়নি

0
30

মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে প্রায় ৪শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি ইফসিয়া মাহিনের উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি এখনো।

এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ডুবন্ত জাহাজের ঘটনাস্থলে মার্কিং স্থাপনের কাজও শুরু হয়নি। ফলে ওই নৌপথ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল চ্যানেল থেকে প্রায় আড়াই’শ মিটার বাইরে পশ্চিমে দিকে কার্গো জাহাজটি ডুবেছে। এর ফলে বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।

মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লাবোঝাই করে এমভি ইফসিয়া মাহিন নামক কার্গোটি যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে পশুর চ্যানেলের বানাশীন্তা বাজার বয়ায় অবস্থান করছিল।

মঙ্গলবার সেখানে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড স্রোতে ওই বয়া থেকে সকল জাহাজের রশি ছিঁড়ে যায়। এরপর জাহাজগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপদে সরে যাওয়ার সময় একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এমভি ইফসিয়া মাহিন জাহাজের।

এতে জাহাজের বাম পাশের হ্যাচ ফেটে যায়। এরপর জাহাজটি ভাসতে ভাসতে পশুর নদীর কাটাখালী অর্থাৎ বন্দর জেটির পশ্চিম পাশে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটি উদ্ধার ও ডুবন্ত জাহাজ এলাকায় মার্কিং স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এরও প্রায় এক মাস আগে পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন বলেন, পশুর নদীর কাটাখালী এলাকায় মঙ্গলবার ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির স্থলে বুধবার মার্কিং স্থাপন করা হবে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মঙ্গলবার বিকেলে মার্কিং স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া কার্গো জাহাজটি উদ্ধারে মালিক পক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মালিকপক্ষ চেষ্টা করছেন ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে কাজে নেমে পড়তে। তাদেরকে সহায়তায় জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে এক মাস আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ উদ্ধার সম্পর্কে হারবার মাস্টার বলেন, এখন পর্যন্ত জাহাজটির উদ্ধারের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ কাজ করতে গিয়ে দুইটি উদ্ধারকারী দল ব্যর্থ হয়ে চলে গেছে। এখন তৃতীয় দল কাজ করছে। পানির প্রচণ্ড স্রোতের কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে, আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হলে ডুবো ওই জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে