করোনা সচেতনতায় ম্যাজিস্ট্রেটের প্যারোডি গান

0
267

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রশাসনের উদ্যোগে অবিরামভাবে চলছে করোনা সচেতনতা প্রচার। জনসমাগম অপেক্ষা করতে জনসাধারণ বার বার মাইকিং করে জানান দেয়া।পাশা পাশি বেপোরুয়া আড্ডাবাজদের আনা হচ্ছে মোবাইল কোর্টের আওতায়।

সফিকুল ইসলাম শিল্পী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: গত ৪ এপ্রিল ২০২০ শনিবার দুপুরবেলা উপজেলা পৌর মার্কেট এর মুল সড়কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা থানা পুলিশ নিয়ে মাইক্রোফোনে প্যারডি গানের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করে চলছেন। দুপুরবেলা পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গান গেয়ে গেয়ে মানুষকে সচেতন করার বিষয়টি এখন  মানবিক ভাবে দেখছেন এ উপজেলার মানুষ।

এ ছাড়াও উপজেলার মানুষ প্রশাসনের এমন চমকপ্রদ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।ধারাবাহিক এমন প্রচারে উপজেলায় মানুষ যথেষ্ট্য সচেতন হচ্ছে বলে অনেকের অভিমত।

গানে বলা হচ্ছে -” সোনার বাংলার ঘরে ঘরে, দেখছিলাম দ্বারে দ্বারে। যাও বাছা বলো তারে, সে যেন থাকে ঘরে।সুখে থাকো ভাল থাকো, মনে রেখো করোনারে।বুকের ভিতর নানা ব্যাথা, চারি দিকে করোনার কথা। হাট বাজার রাখো ফাঁকা। ঘরে থাকো একা একা, যাও পাখি বলো তারে সে যেনো থাকে ঘরে………..

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বা সাবান এবং জল দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে। কাশি ও হাঁচি দেওয়ার সময় নাক এবং মুখ টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ ডাক্তারদের। ঠান্ডা লেগেছে বা ফ্লু জাতীয় উপসর্গ রয়েছে এমন কারও সংস্পর্শ এড়িয়ে (১ মিটার বা ৩ ফুট) চলা আমাদের সকলের এখন নৈতিক দায়িত্ব।

করোনা ভাইরাসকে জয় করা বা রোগটি থেকে সেরে ওঠা মার্কিন নারী এলিজাবেথ স্নেইডার তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। যদি আপনার সন্দেহ হয়, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করান। যদি উপসর্গগুলো জীবন সংহারি না হয়, তাহলে ঘরেই থাকুন। ওষুধ খান, প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন এবং যেসব অনুষ্ঠান দেখতে চান, আপনি তা দেখুন।’

করোনাকে জয় করতে আপনার মনোবলই যথেষ্ট। আপনিও হয়তো আমার মত খুব ছোটকাল থেকেই শুনেছেন, বনের বাঘে খায় না কিন্তু মনের বাঘই খায়। একটু চিন্তা করলেই দেখবেন, আমি-আপনি যখনই কোনও কিছু নিয়ে ভয়-উৎকন্ঠা আর হতাশা মাঝে থাকি, তখন আমাদের সুন্দর চিন্তা ভাবনাগুলো লোপ পায়।

অত্যন্ত সহজ কাজটিও নিজেরাই কঠিন করে তুলি। সুস্থ ও সময় উপযোগী পরিকল্পনা-সিদ্ধান্ত থেকে আমরা দূরে সরে যাই। আর বিপদ থেকে উত্তরণের দিকবিদিক ছুটে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু অজানা, অচেনা পথের শেষ কোথায়-এটা নিশ্চয়ই বলা কঠিন। তাই আগে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শুধু করোনা ভাইরাসই নয়, যেকোনো সংকট মোকাবেলা করা সহজ, মসৃন হয় উত্তরণের পথ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে