করোনায় লকডাউনের মধ্যে ছিনতাই, নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে কীভাবে

0
263
এমন ফাঁকা রাস্তায় ছিনতাই এর আশঙ্কা করছেন অনেকে

বাংলাদেশের করোনাভাইরাস রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কার্যত সারা দেশ অচল হয়ে গেছে। মানুষকে বাড়ীর বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে সরকার।

বিভিন্ন জেলা লকডাউন করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনিয় জিনিসের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধের দোকান। কিন্তু এই মহামারির সময় বেশ কিছু ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকার দুইটি ফার্মেসিতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লাজ ফার্মা নামের একটি ওষুধের দোকানের খিলগাঁও শাখাতে গত রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে একদল লোক ঢোকে।

অস্ত্রের মুখে টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটা মামলা হয়েছে। এদিকের ঢাকার মোহাম্মদপুরে আরেকটা ফার্মেসিতে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে।

এদিকে রাসেল আহমেদ নামে একজন বলেন, তিনি তার কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে গতকাল রাতে ফাঁকা রাস্তায় তিনি ছিনতাই এর কবলে পরেন।

হাতিরঝিল এলাকাতে রাত নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন এতে তার মোবাইল, মানিব্যাগ ইত্যাদি হারিয়েছেন তিনি।

মি. আহমেদ বলেন “এই লকডাউন অবস্থা কতদিন চলবে তার কোন ঠিক নেই। কিন্তু এই সুযোগটা যদি অপরাধীরা কাজে লাগাতে চায় তাহলে আমাদের যাদের বাধ্য হয়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের আরেকটা বাড়তি দুঃচিন্তা নিয়ে বের হতে হবে”।

বাংলাদেশের পুলিশের এআইজি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন সোহেল রানা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উদ্ভূত পরিস্থিতে অপরাধের প্রকৃতিগত কিছু পরিবর্তন তারা লক্ষ্য করেছেন। কিছু ওষুধের দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়টা তাদের নজরে এসেছে।

তিনি বলেন “ওষুধের দোকান কেন্দ্রিক পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সেখানে পুলিশের মুভমেন্ট বাড়ানো হয়েছে”। “শহরের অনেক স্থানে সিসিটিভি রয়েছে। এসবের ফুটেজের সহায়তা আমরা নিচ্ছি”।

“আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এধরণের অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যেখানেই আমরা খবর পাচ্ছি সেখানেই আমরা আমাদের টিম পাঠিয়ে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি” বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশ বলছে যেসব দোকান রাতে খুলে রাখার নিয়ম রয়েছে বিশেষ করে ওষুধের দোকান সেসব দোকানের কর্মীরা যাতে টাকা লেনদেনের সময় দোকানের শাটারের ভেতরে যে গ্রিল থাকে সেটা নামিয়ে রাখেন।

এবং সেখান থেকে লেনদেন করেন। এছাড়া অহেতুক কাওকে দোকানে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করছে পুলিশ। বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে