বাংলাদেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১২ জন রোগী। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হলো ৩৩০ জন। মারা গেছেন আরো একজন। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এর নিয়মিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে স্বাস্থমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের হার বাড়ছে। তবে ভাইরাস শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাবার মূল কারণ করোনাভাইরাস পরীক্ষার হার বেড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আগে মাত্র একটি জায়গায় নমুনা পরীক্ষা হত, এখন ১৬ থেকে ১৭টি জায়গায় টেস্ট হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে পিসিআর পদ্ধতিতে মোট ১০৯৭ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬১৮ জনেরএবং ঢাকার বাইরে ৪৭৯ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে।
নতুন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পুরুষ ৭০, এবং মহিলা ৪২ জন। নতুন সংক্রমিত হওয়া রোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা দুই তৃতীয়াংশ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে রয়েছে তিনজন।
১১-২০ এর মধ্যে রয়েছেন ৯ জন।
২১-৩০ এর মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন।
৩১-৪০ এর মধ্যে রয়েছেন ২৪ জন।
৪১-৫০ এর মধ্যে রয়েছেন ১৭ জন।
৫১-৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন।
ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে সবেচয়ে বড় অংশটি ঢাকায়, মোট ৬২জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে নারায়নগঞ্জে, মোট ১৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশের ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
এই হাসপাতালগুলো করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সেবা দেবে। এছাড়া বাংলাদেশে এই মূহুর্তে দশ হাজার ৭৮৭ জন মানুষ কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, সারাদেশে মোট ১৩৫ জন মানুষ আইসোলেশনে রয়েছেন। সরকারের কাছে এই মূহুর্তে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ৭১ হাজার কিট মজুদ আছে।
এছাড়া পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরের দেয়া হটলাইন নন্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি কল এসেছে বলে জানানো হয়।