করোনার প্রভাবে লকডাউনের কারণে পর্যটকশূন্য কক্সবাজারে যখন ডলফিন দলের খেলার ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। কক্সবাজার সৈকতে ডলফিনের বিচরণ দেখে দেশের পর্যটনকে নতুনভাবে সাজানোর কথাও উঠে আসছে নানা মাধ্যমে। আর ঠিক এ সময়েই কক্সবাজারের টেকনাফের শাপলাপুর সৈকতে একটি ডলফিনকে তুলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জেলেদের বিরুদ্ধে।
মাছ ধরার জালে আটকা পড়লে জেলেরা ডলফিনটিকে পিটিয়ে মারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশকর্মী সেভ দ্য ন্যাচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ।
শনিবার মৃত ডলফিনটির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন স্থানীয় যুবক জালাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি সময় সংবাদকে জানান, জালে আটকা পড়ায় জালেরা সেটি সৈকতে এনে ফেলে দেয়। ডলফিনটি অনেক বড় এবং তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে ডলফিনটি আর দেখা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। যদিও পরে অদৃশ্য কারণে বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
কক্সবাজারের পরিবেশকর্মী, সেভ দ্য ন্যচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ জানান, নানা টোটকা ওষুধের জন্য ডলফিন হত্যা করে তার মাংস ও হাড় নিয়ে যায় জেলেসহ একটি চক্র। এ ডলফিনটিও সেই কারণে মারা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে জানানো হলে ডলফিনটি মাটি চাপা দেয়া ছাড়া আর কোনো তৎপরতা দেখায় না তারা। বিচার না হওয়ার কারণেই সামুদ্রিক প্রাণী হত্যার হার বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) হুমায়ুন কবির সময় সংবাদকে বলেন, ডলফিনের মৃত্যুর খবর আমরা পাইনি। খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই জেলেদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পরে শপলাপুর বিট অফিসার মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী জানান, ডলফিনটি নিজে থেকে মরে ভেসে এসেছে। যেহেতু কদিন ধরে জেলেরা সাগরে যাচ্ছে না তাই জেলেদের জালে আটকা পড়ার কথা না।
অজ্ঞতা অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে মানুষ প্রতিনিয়ত পরিবেশকে ধ্বংস করছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিবেশবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ নাসির খান মিন্টু ভাই। সচেতন হবার এখনই সঠিক সময়।