সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুনশান নীরবতা

0
351
করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য সিলেট।

এমনটা আগে দেখেননি সিলেটবাসী। বছরের প্রতিটি দিন যেখানে থাকতো লোকারণ্য এখন সেখানে শুনশান নীরবতা। সকাল থেকে সন্ধ্যে কেটে যাচ্ছে একই নিয়মে। ভরদুপুরে ডাকছে ডাহুক আর সন্ধেবেলায় ঝিঁঝিঁ পোকা। এমন চিত্র এখন সিলেট ও এর আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর। করোনার প্রভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া পর্যটকদের অভাবে বিপাকে হাজারও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, জনশূন্য হোটেল-মোটেল ও চঞ্চল রাস্তাগুলো। থমকে গেছে পর্যটনকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকা প্রাণগুলোও।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও রয়েছে কড়া নির্দেশনা। করোনার সংক্রমণ এড়াতে গত ৩০ মার্চ সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেটে পর্যটকদের আসতে নিরুৎসাহিত করেছেন। সেই সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লোক সমাগম না হতে ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছেন। জাফলং, লালাখাল, পাংথুমাই, লোভাছড়া, উৎমাছড়া, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকাগুলো এখন একেবারেই নীরব।

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দিনে ডাহুক রাতে ডাকছে ঝিঁঝিঁ পোকা

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দন সাহা জানান, শুধু পর্যটন নয়, সকল ব্যবসায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ছে। হোটেল-মোটেলগুলো শূন্য।

এফবিসিসিআইর পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, করোনার ভাইরাসের প্রভাব কেবল সিলেট নয়, সারাদেশেই পড়েছে। সব ধরনের পর্যটক সিলেটে আসা বন্ধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোতে ভিড় লাগে পর্যটকদের। সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলোর ৮০ ভাগই থাকতো পর্যটকে ভর্তি। এখন সিলেটের প্রায় তিন শতাধিক ছোট-বড়ো হোটেল-মোটেল পর্যটক শূন্য। সিলেটে মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল বেশ কদিন আগেই তাদের কর্মচারীদের অগ্রিম বেতন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের সভাপতি হোটেল ফরচুন গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী সুমাত নূরী চৌধুরী ও সিলেটের ফাইভ স্টার হোটেল রোজ ভিউের মালিক আহাদ উদ্দিন বলেন, খুব মন্দা সময় পার করতে হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে