করোনা প্রতিরোধে ভারতকে অনুসরণ করে বাংলাদেশে জনগণ পেটাচ্ছে পুলিশ!

    0
    675

    টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে পুলিশ,নিরাপত্তার স্বার্থে বাসায় থাকুন। এমন প্রচারনায় সোস্যাল মিডিয়া অফলাইন অনলাইন সবখানে সয়লাব। করোনার আতংকে মানুষকে ঘরে রাখতে গত ২ দিন ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। যাকে তাকে যেখানে সেখানে পেলেই পেটাচ্ছে। রিকশায়ালা, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ,অসুস্থ রোগী ও মার খেয়েছেন। তাদের অপরাধ ঘরের বাহিরে থাকা। পুলিশের এই বর্বরোচিত আচরণকে অনেকেই উৎসাহ দিচ্ছেন।

    বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বরোডে চলন্ত মোটরসাইকেলে চালক , যাত্রীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানেও পুলিশের মারমুখী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ যেনো ভুলে গেছে,তারা জনগনের সেবক, রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী।

    রাজবাড়ির পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি থেকে বাসায় ফেরার পথে এক সরকারী ডাক্তারকে পিটিয়েছে পুলিশ। পেশাগত কাজ সেরে হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন বলার পরেও ওই ডাক্তারকে পিটিয়েছেন,পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ নিজেই। করোনা মোকাবেলায় ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে যাকে পাচ্ছে, তাকেই কেনো পেটাচ্ছে পুলিশ? জনগনকে রাস্তায় পেলে এভাবে পেটানোর ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হয়নি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে জেল জরিমানা দেন। তারপরও পুলিশ দিয়ে জনগন পেটানো সম্পূর্ন অবৈধ। ব্যাপারটি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

    পুলিশ দিয়ে জনগন পিটিয়ে ঘরে রাখার সমালোচনা করে জাহিদ সবুজ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো… জনগনকে পিটাইতে পুলিশকে উৎসাহিত করবেন না। এটা বর্বরতা। করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নাই। এখনো জেলা শহার তো দূরের কথা বিভাগীয় শহরগুলোতে পর্যন্ত করোনা টেস্টের ব্যবস্থা হয় নাই। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ দিয়া জনগণকে হেনস্তা শুরু হয়ে গেছে। এটারে বলে ‘ভাত দেওয়ার মুরোদ নাই, কিল মারার গোসাই’।

    কেউ অকারণে বাইরে বের হইলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে উৎসাহিত করুন। কারণে বের হইলে যাতে নিরাপদ দূরত্ব মেনটেইন করে সেজন্য জনগণকে সচেতন করতে পুলিশকে উৎসাহিত করুন। কারণ-অকারণ নির্ধারনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। ‘মাইরের উপর ঔষধ নাই, পুলিশের উপর ডাক্তার নাই ‘ এসব মূর্খ চিন্তা ভাবনা ছাড়ুন।

    যেসব দেশে পুলিশ যত্রতত্র যেমন খুশি জনগণকে পেটায় সেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবার চাইতে যেসব দেশের পুলিশ এমন আচরণ করে না সেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান ভাল। বিশ্বাস না হইলে গুগোল করেন, ইতিহাস পড়েন। মোবাইল রিচার্জের দোকান খোলা রাখতে হবে। এই দুর্দিনে আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নিতে হবে মানুষের। কিছু সংখ্যক রিকশা চালক অবশ্যই বাইরে থাকতে হবে। এরা করোনা আক্রান্ত রোগীকেও রিকশায় তুলতে ভয় পায়না। এই দেশের কোটি কোট মানুষ দিনে আনে দিনে খায়, তাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব কেউ নেয় নাই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও দুই মাস বইসা খাওয়ার সঙ্গতি নাই। তাদেরকে দোকান খোলা রাখার একটা গাইড লাইন দিতে হবে। আশা করি পুলিশ এইসব বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।

    আর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে পুলিশ। বাঙালি বল ছোঁড়া শুরু করলে তখন কিন্তু ব্যাপারটা ভালো দেখাবে না। তাছাড়া জাতি হিসেবে আমরা ব্যাটিংয়ে চেয়ে বোলিং ফিল্ডিংটা বেশি ভালো পারি।

    একটি উত্তর ত্যাগ

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে