পদ্মা জলে সাঁতার : নদীপুত্র

0
487

নদীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লড়াই করতে গত ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে ঢাকা থেকে রেলগাড়ীতে উঠে পড়ি রাজশাগী গোদাগাড়ীর পথে। উদ্যেশ্য ছিলো পদ্মা নদী এবং মহানন্দা নদীর দৃশ্য দেখার পর মহদীপুর সীমান্ত দিয়ে সড়ক পথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় বেড়াতে যাবো।

গঙ্গা নদী সুরক্ষা কমিটি (জেআরসিসি) নামের একটি স্থানীয় সংগঠনের আমন্ত্রণে গিয়ে ছিলাম ভারতে বাংলাদেশ সীমান্ত নদীতে। নদীর জলের দিকে তাকালেই ভেসে ওঠে ধূধূ বালু চর! এককালে এপথে পনির প্রবাহ ছিলো মনে হতে থাকে। এখন মরূভুমির মতো বালো চরে স্থানীয়দে গবাদী পশুর বিচরণ ক্ষেত্র এই নদী। পুর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম আকাশে তাকালেই আকাশ বড় মনে হয় না! তার কারণ নদীর প্রবাহ আগের মতো নেই।

তবুও যতটুকু জল আছে তাতেই নেমে পড়ার এক অদশ্য উচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারি নি। বহু বছর পরে নদির জলে স্নান করার এইতো সুযোগ। নেমে পড়ি মীতল জলের পদ্মা নদীর জলে। বন্ধু শফিকুল ইসলাম মুক্তা একজন স্থানীয় পরিক্ষিত সংগঠক। মাছের জন্য অভয় আশ্রম, কৃষকের জন্য সুলভ মুল্যে পানি সর্বরহ করে একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন। ধন্যবাদ মুক্তাকে। এই চবি মুক্তা্ তুলে ছিলো।

রাজশাহী জেলার অন্যতম উপজেলার নাম “গোদাগাড়ী”। গোদাগাড়ী উপজেলা সদর সংলগ্ন বহমান পদ্মানদী। পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। পদ্মার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট (৪৭৯ মিটার) এবং গড় গভীরতা ৯৬৮ফুট (২৯৫ মিটার)। বাংলাদেশে নদীটির দৈর্ঘ্য ১২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।

পানিশূন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের নদ-নদী. মরণ বাঁধ ফারাক্কার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে এগোচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বাঁধের কারণে একদিকে প্রমত্তা পদ্মা যেমন নাব্য হারিয়েছে; তেমনি দেড় যুগ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা-তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক নদীভাঙন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানে প্রধান নদী পদ্মা,মহানন্দা,পুনর্ভবা ও পাগলা।

পদ্মা: গঙ্গা নদী ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে পদ্মা নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মিত হওয়ার পর থেকে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমতে থাকে এবং বিশাল চর জেগে উঠতে থাকে। বর্তমানে পদ্মা তার পূর্বেকার রূপটি হারিয়ে ফেললেও প্রতিবছর বর্ষাকালে সে প্রলয়ঙ্কারী রূপ ধারণ করে।পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। পদ্মার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট (৪৭৯ মিটার) এবং গড় গভীরতা ৯৬৮ফুট (২৯৫ মিটার)।

রাজা রাজবল্লভের কীর্তি পদ্মার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে ধ্বংস হয় বলে পদ্মার আরেক নাম কীর্তিনাশা।পদ্মার প্রধান উপনদী মহানন্দা ও পুনর্ভবা। মহানন্দা উপনদীটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় এবং পুনর্ভবা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার বিভিন্ন শাখানদীর মধ্যে গড়াই, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব ইত্যাদি অন্যতম। আবার পদ্মার বিভিন্ন প্রশাখা নদীসমূহ হলো- মধুমতী, পশুর, কপোতাক্ষ ইত্যাদি। এই নদীগুলো কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, বাগেরহাট,গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালি ইত্যাদি জেলার উপর দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে