আলো জ্বালিয়ে নোঙর’র বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন

0
418

গতকাল ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার রাত ৮:৩০ মিনিটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর বাংলাদেশ-শিশুস্বর্গ’ একশত মোমবাতি জ্বালিয়ে দিবসটি পালন করেছে। ছবি : এফ এইচ সবুজ

রাত ৮:৩০ মিনিটে স্বাধীনতার মাঠে বিভিন্ন রঙের শতশত আতোশবাজি ফুটিয়ে জাতীয় ভাবে এই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে।

১৯২০ সালের এই দিনে রাত আটটায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের ‘খোকা’। যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’। তাঁর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, জন্ম নেয় বাংলাদেশ। ৫৫ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা কেড়ে নেন তাঁর প্রাণ।

কিন্তু দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় আজ উচ্চারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী এক বছরকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক আয়োজন।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘নোঙর বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সুমন শামস এবং শিশুস্বর্গ’র সভাপতি দর্পণ জামিল। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোঙর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য মীর মোকাদ্দেস আলী শান্ত, জিয়া কায়সার জনি, রুহুল আমিন, আই শেখর, কবি রেবেকা শিল্পী, এ এইচ সবুজ, কনক রওশন, ফাহিম হক, মিথিলা ফারজানা, ফরাহ্, নিয়ামুল হক, জান্নাত তোর্শা, তানভীর হাসান বাপ্পী, লাবনী লুভনা, রিয়াসাদসহ অনেক শুভাকাঙ্খীরা একশত মোমবাতি প্রজ্জ্বলণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনের কেক কেটে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে।

সরকার ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী এক বছরকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক আয়োজন। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণাঢ্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশি-বিদেশি বরেণ্য ব্যক্তিদের। কিন্তু এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। জনতার নেতার জন্মদিনের এই উপলক্ষটা জনতার ঢল দিয়েই আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক সেই উদযাপনে ছেদ টেনেছে। অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য রাখারই চেষ্টা আছে। কিন্তু জনতার উপস্থিতি এড়ানো হচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই এমন কর্মসূচি। বেশির ভাগ কর্মসূচি টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১০ জানুয়ারি থেকেই জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও জনপরিসরে ক্ষণগণনার জন্য কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে। ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএল এবার বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজন করা হয়। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৭টি দূতাবাসে ২৬১টি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেয়।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর মহকুমার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনার হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীটি জাতীয় শিশু দিবসও। দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে