বুড়িচংয়ে অবাধে কাঁটা হচ্ছে ফসলি জমি, নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ও পরিবশ

0
292

কুমিল্লার বুড়িচংয়র বিভিন এলাকায় ফসলি জমি থেকে অবাধে কাঁটা হচ্ছে মাটি। আর এই মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। অতিরিক্ত মাটি পরিবহন ও ওভার লাড ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। এছাড়া ধূলা-বালিতে ফসলী জমি ও পরিবশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচেছ।

বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় গ্রামের সরু সড়ক গুলি দিয়ে চলছে মাটি ভর্তি ওভার লাডট ড্রাম ট্রাক। ফসলি জমি থেকে ভকুর মাধ্যম কাঁটা মাটি নিয়া যাচ্ছে বিভিন ইটভাটায়। ড্রাম ট্রাকগুলি চলার কারনে সড়কর বিভিন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। রাস্তার পাশে ফসলী জমি গুলির উপর পরে আছে ধূলা-বালির আস্তরন।

উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহ দলতপুর এলাকায় ফসলি জমিতে দেখা যায় ভকু দিয়ে কাঁটা হচেছ মাটি। ৪-৫টি ড্রাম ট্রাক বিরাতিহীন ভােব এই মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। মাটি কাঁটার কােজ নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাহ দলতপুর পশ্চিম খন্দকার বাড়ীর মৃত মোসাদ্দক খন্দকারের ছেলে মোঃ আরিফ এর নেতৃত্বে মধ্যম শাহদলতপুর সহ বিভিন এলাকায় মাটি কাটা হচ্ছে, জমি থেকে কাটা মাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কর পাশ অবস্তিত মিয়ামী হোটেলের কাছে ভরাট করা হচেছ। এছাড়া আরিফের নেতৃত্বে ময়নামতি ইউনিয়নর ডাকলাপাড়া এলাকায় ভকু দিয়া মাটি কাটা হছ।

মোকাম ইউনিয়নের কারপাই, সাদাত জুট মিলর পিছন, আবিদপুর, গজারিয়া, লাটুয়ারবাজার এলাকাসহ বিভিন এলাকায় ফসলি জমি থেকে ে ড্রজার ও ভকু মিয়া মাটি কাঁটা হচ্ছে।

অবাধে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় যেমন কম আসছে ফসলি জমি, তেমনি মাটি পরিবহন নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। এলাকার কষক মফিজ মিয়া জানান, তিনি ১০ শতক জমিতে লাল শাক বুনন করছিলেন, মাটি বহনকারী ট্রাকর বালি পরে সব শাক নষ্ট হয় গেছে। ফলে ১০ শতক জমির লাশ শাক ৫ হাজার টাকা বিক্রয়ের কথা ছিলা সেখানে তিনি ২ হাজার টাকা বিক্রয় করত পারছেন।

কষক আবুল হাসন বলন, আমি ১৫ শতক জমিত আলু ও ১০ শতক জমিত সরিষা চাষ করছি, রাস্তার পাশ জমি বিধায় ট্রাকর বালু পরে আমার ফসলর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

অটোরিক্সা চালাক কামাল হাসন বলন, সরু সড়ক দিয়া বড়-বড় ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত রাস্তা ভাঙ্গা যাচেছ। ফলে ওই সড়ক গুলি দিয়ে চলাচল অসুবিধা হচেছ সাধারণ মানুষের ও বিভিন্ন ছোট যানবাহনের।

এ বিষয়ে বুড়িচং উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলন, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত অপরাধ। ফসলি জমিতে ভেকু দিয়া মাটি কাটার বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার মোবাইল কার্ট পরিচালিত হয়েছে। আবার অভিযান চালানো হব।

উপজলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহ্মিদা আক্তার বলন, দ্রুত সময়র মধ্যে ফসলি জমিতে মাটি কাটা বন্ধর অভিযান পরিচালিত হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে