মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত রবিবার এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদার আইনজীবীরা শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। পরে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত আদালতে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর আবেদন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ‘কলঙ্কিত’ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদি হয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ ব্যাপারে একটি মানহানির মামলা করেন। পরে আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
পরের বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত)। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, দুদকের পৃথক দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ ও ৭ বছরের সাজা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। বাসস
