নিরাপত্তা সুশাসন ও গণতন্ত্রের প্রত্যাশা

0
303

প্রত্যাশার ভিন্নতা আছে৷ কারুর চিন্তা রাজনৈতিক আবার কারুর চিন্তা অর্থনৈতিক৷ কারুর সামাজিক৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিরাপত্তা, সুশাসন ও গণতন্ত্রের৷

ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে নতুন বছরে একটি বা দু’টি চাওয়ার কথা জানতে চাওয়া হয়৷ আর এই প্রত্যাশা জানতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে প্রশ্ন করা হয়৷ তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আছেন, আছেন অর্থনীতিবিদ৷ আছেন সাধারণ মানুষ৷ সাধারণ মানুষের প্রধান চিন্তা টিকে থাকা নিয়ে৷ তারা ভাবছেন বাজারদর, নিরাপত্তাসহ ভালোভাবে বেঁচে থাকার কথা৷ কিন্তু প্রায় সবার কথায় উঠে এসেছে অস্বস্তি আর অনিশ্চয়তা৷

জেনেভা
সম্ভবত নতুন বছর উদযাপনের সবচেয়ে খরুচে স্থান সুইজারল্যান্ডের এই শহর৷ লেক জেনেভায় আতশবাজি দেখার পাশাপাশি প্যাডেল হুইল স্টিমারে ছয় পদের ডিনার এবং শ্যাম্পেন পানের আয়োজন করা হয়৷ পুরো লেকের পাড় নানা রঙের আলোতে সাজিয়ে তোলা হয়৷


ঢাকার কলাবাগানের গৃহবধূ তাসমিয়া ইসলাম নতুন বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল দেখতে চান৷ তার কথা,‘‘এবছর পেঁয়াজের দাম নিয়ে যা ঘটেছে তাতে আতঙ্কিত হয়েছি৷ মনে হয়েছে বাজারের ওপর কারোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ সিন্ডিকেট করে যেকোনো শক্তিশালী গ্রুপ চাইলে যেন যা কিছু তাই করতে পারে৷ এটার অবসান চাই৷”

প্যারিস
ফ্রান্সের শঁ দ্য মার্স এবং পালে দু ত্র্য তে সবচেয়ে বড় নববর্ষের আয়োজন হয়৷ আইফেল টাওয়ারে আয়োজন হয় লাইট আর লেজার শো৷ শঁস এলিস থেকে দেখা যায় আর্ক দে ত্রিওম্ফ৷ সেখানে প্যারিসিয়ানরা জড়ো হন সবাইকে ‘বন অ্যান্নি’ বা ‘শুভ নববর্ষ’ জানাতে৷

নিরাপত্তার বিষয়টিকে মানুষ এখন শুধু আক্ষরিক অর্থে নিরাপত্তা মনে করেন না৷ তারা এটাকে অনিশ্চয়তার দিক থেকে দেখেন৷ কাজের নিরাপত্তা, চলাফেরার নিরাপত্তা, ভালো থাকার নিশ্চয়তা এসব দিক তারা বিবেচনায় নেন৷ একজন শিক্ষিত তরুণ তার নিরাপত্তা দেখেন তার চাকরি বা কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তার দিক থেকে৷ যেমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করর যুবক অভীক ইসলাম মনে করেন,‘‘আসলে টিকে থাকার লড়াই করছি আমরা৷ এই সংগ্রামে অনিশ্চয়তা আছে নানা দিক থেকে৷ এটা আমাদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে৷ এই নিরপত্তাহীনতা অবসান চাই৷”

স্পেন
স্পেনে শহর বা গ্রামে লোকজন আঙুর হাতে সেন্ট্রাল স্কয়ারে জড় হন এবং ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলিয়ে একটি একটি করে সেগুলো খান৷


সাংবাদিক দীপু সারোয়ারও নিরাপত্তার কথা ভাবেন৷ কিন্তু তার আঙ্গিক ভিন্ন৷ তিনি চান তার পেশাগত নিরাপত্তা৷ তার মতে,‘‘সাংবাদিকেরা বাংলাদেশে নানা দিক দিয়ে ঝুঁকির মুখে আছেন৷ তারা শারীরিক নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন রয়েছে৷ তেমনি আছে আর্থিক অনিশ্চয়তা৷ আর সবার ওপরে আমাদের প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা৷ এই জায়গাটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে৷ এর অবসান না হলে সাংবাদিক সাংবাদিকতা করবেন কিভাবে?”

বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ নতুন বছরে দুইটি বড় চ্যালঞ্জে দেখতে পাচ্ছেন৷ তার মতে,‘‘রাজস্ব আদায়ে দক্ষতা দেখাতে পারছেনা সরকার৷ আর এটা করতে না পারলে সরকারের উন্নয়মূলক কাজসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় কাজ বাধাগ্রস্ত হবে৷ আর ঋণখেলাপিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছে৷ তাদেরও আইনের আওতায় এনে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে৷ এটা করা না হলে অর্থনীতি বড় ধরনের বিপদে পড়বে৷ নতুন বছরে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট হবে৷ এটা আশার কথা৷ বিনিয়োগ বাড়বে৷ কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে সুফল পাওয়া নাও যেতে পারে৷”

বুলগেরিয়া
প্রেতাত্মাদের তাড়াতে নতুন বছরে বুলগেরিয়ার লোকজন প্রচণ্ড শব্দ করে৷ প্যারেডে পুরুষরা সাধারণত দানবের মুখোশ ও গোল পোশাক পরেন৷ নতুন বছরে প্রচুর ফসল কামনায় এই নাচ করা হয়৷


দেশের মালিকানা এখন কার হাতে তা নিয়ে সংশয় আছে রাজনীতিবিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর৷ তাই নতুন বছরে তার প্রত্যাশা,‘‘দেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে আসুক৷ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ আর এই মালিকানা ফিরে পেতে আমি দেশের জনগণের পক্ষে থাকব৷”


আর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ দেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চান৷ তার মতে,‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি তিনি চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায়৷ কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি নানাভাবে এই উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়৷ তারা চায় বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে৷ সেটা যেন না হয়৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেন আরো এগিয়ে যায় নতুন বছরে এটাই আমার চাওয়া৷”

ইতালি
ইতালিতে পুরুষরা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রিয়তমাকে লাল রঙের অন্তর্বাস উপহার দেন এবং সন্ধ্যায় ভালো কোথাও ডিনারে নিয়ে যান


তবে স্থিতিশীলতা আইনের শাসনের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান৷ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে মানুষের অনেক চাওয়াই পুরণ হবে বলে মনে করেন তিনি৷ আর এরজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা৷ তিনি বলেন,‘‘আইনের শাসন দুর্বল থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে পড়ে৷ মানবাধিকার, সুশাসন , জনগণের নিরাপত্তা সবখানেই এর প্রভাব পড়ে৷ এটা যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, জীবন সবখানেই স্থিতিশীলতা চলে আসবে৷”

তুরস্ক
তুরস্কে নতুন বছরে ‘ফাদার নোয়েল’ শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন৷ বড়রা বাড়ির সবগুলো কল খুলে রাখেন৷ বিশ্বাস করা হয়, নতুন বছরে সৌভাগ্য কলের পানির সঙ্গে ভেসে আসবে৷


বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে এই নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা বোধ তৈরির পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিইটউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম৷ তিনি বলেন,‘‘আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে অস্থিরতা চলছে৷ যা মানুষকে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার বোধে আক্রান্ত করছে৷ মানুষ এখন আরো কি খারাপ হতে পারে সেই চিন্তা করছে৷”

স্কটল্যান্ড
আতশবাজির ঝলকানি আর পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্যারেড করে ৩১ ডিসেম্বর ‘হোগমানেই’ উৎসব পালন করে৷ মধ্যরাতে লোকজন দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকসঙ্গীত গায়৷ বিশ্বাস করা হয়, তারা সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভব হলে তাদের এক বোতল হুইস্কি দিতে হয়৷

ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে নতুন বছরে একটি বা দু’টি চাওয়ার কথা জানতে চাওয়া হয়৷ আর এই প্রত্যাশা জানতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে প্রশ্ন করা হয়৷ তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আছেন, আছেন অর্থনীতিবিদ৷ আছেন সাধারণ মানুষ৷ সাধারণ মানুষের প্রধান চিন্তা টিকে থাকা নিয়ে৷ তারা ভাবছেন বাজারদর, নিরাপত্তাসহ ভালোভাবে বেঁচে থাকার কথা৷ কিন্তু প্রায় সবার কথায় উঠে এসেছে অস্বস্তি আর অনিশ্চয়তা৷


ঢাকার কলাবাগানের গৃহবধূ তাসমিয়া ইসলাম নতুন বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল দেখতে চান৷ তার কথা,‘‘এবছর পেঁয়াজের দাম নিয়ে যা ঘটেছে তাতে আতঙ্কিত হয়েছি৷ মনে হয়েছে বাজারের ওপর কারোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ সিন্ডিকেট করে যেকোনো শক্তিশালী গ্রুপ চাইলে যেন যা কিছু তাই করতে পারে৷ এটার অবসান চাই৷”

দুবাই
২০২০ সালের ২০ আগস্ট হবে হিজরি নববর্ষ৷ কিন্তু গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নববর্ষও দুবাইয়ে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করা হয়৷ সমুদ্র সৈকতে, বিলাসবহুল রিসোর্টে বা শহরের যেকোনো স্থান থেকেই আতশবাজির প্রদর্শনী দেখা যায়৷ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় পাইরোটেকনিক বা আগুনের খেলা দেখানো হবে এই শহরে, একসঙ্গে কয়েক শত জায়গা থেকে নিক্ষেপ করা হবে আতশবাজি৷


নিরাপত্তার বিষয়টিকে মানুষ এখন শুধু আক্ষরিক অর্থে নিরাপত্তা মনে করেন না৷ তারা এটাকে অনিশ্চয়তার দিক থেকে দেখেন৷ কাজের নিরাপত্তা, চলাফেরার নিরাপত্তা, ভালো থাকার নিশ্চয়তা এসব দিক তারা বিবেচনায় নেন৷ একজন শিক্ষিত তরুণ তার নিরাপত্তা দেখেন তার চাকরি বা কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তার দিক থেকে৷ যেমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করর যুবক অভীক ইসলাম মনে করেন,‘‘আসলে টিকে থাকার লড়াই করছি আমরা৷ এই সংগ্রামে অনিশ্চয়তা আছে নানা দিক থেকে৷ এটা আমাদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে৷ এই নিরপত্তাহীনতা অবসান চাই৷”

মন্ট্রিল
গরম কাপড় পরে ক্যানাডার মন্ট্রিল বন্দরে আতশবাজি দেখার আনন্দই আলাদা৷ শহরটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপস্থিত হন৷ কুইবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে বরফে স্কি করা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ে হাইকিং করাও এই উদযাপনের অংশ৷ আতশবাজি শেষ হলে বিভিন্ন ক্লাবে নেচে গেয়ে কাটানো যাবে রাত৷


সাংবাদিক দীপু সারোয়ারও নিরাপত্তার কথা ভাবেন৷ কিন্তু তার আঙ্গিক ভিন্ন৷ তিনি চান তার পেশাগত নিরাপত্তা৷ তার মতে,‘‘সাংবাদিকেরা বাংলাদেশে নানা দিক দিয়ে ঝুঁকির মুখে আছেন৷ তারা শারীরিক নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন রয়েছে৷ তেমনি আছে আর্থিক অনিশ্চয়তা৷ আর সবার ওপরে আমাদের প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা৷ এই জায়গাটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে৷ এর অবসান না হলে সাংবাদিক সাংবাদিকতা করবেন কিভাবে?”

অস্ট্রিয়ায়
অস্ট্রিয়ায় নতুন বছরে ওয়াল্টজ্ নাচে অংশ নেওয়া ঐতিহ্যের অংশ৷ এছাড়াও সেখানে ‘সুইট ফিশ’ নামে মাছের আকৃতির একটি বিস্কুট খাওয়ার রেওয়াজ আছে, যেটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবা হয়৷ কিন্তু মাছের পাখনা খাওয়া যাবে না৷ তাহলে সৌভাগ্য সাঁতরে পালিয়ে যাবে বল বিশ্বাস করা হয়৷


বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ নতুন বছরে দুইটি বড় চ্যালঞ্জে দেখতে পাচ্ছেন৷ তার মতে,‘‘রাজস্ব আদায়ে দক্ষতা দেখাতে পারছেনা সরকার৷ আর এটা করতে না পারলে সরকারের উন্নয়মূলক কাজসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় কাজ বাধাগ্রস্ত হবে৷ আর ঋণখেলাপিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছে৷ তাদেরও আইনের আওতায় এনে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে৷ এটা করা না হলে অর্থনীতি বড় ধরনের বিপদে পড়বে৷ নতুন বছরে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট হবে৷ এটা আশার কথা৷ বিনিয়োগ বাড়বে৷ কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে সুফল পাওয়া নাও যেতে পারে৷”

মাদ্রিদ
স্পেন রাজধানীর কেন্দ্র পুয়ের্তা দেল সোল স্কয়ারে সবচেয়ে বড় পার্টির আয়োজন হয়৷ স্পার্কলিং ওয়াইন এবং আঙুর নিয়ে সবাই সেখানো জড়ো হন৷ ঘড়ির কাঁটা যখন নতুন বছরের ঘোষণা দেয়, তখন ঘণ্টার প্রতিটি আওয়াজের সঙ্গে একটি করে আঙুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে স্পেনে৷ প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে আঙুর খাইয়ে দেন৷ একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷


দেশের মালিকানা এখন কার হাতে তা নিয়ে সংশয় আছে রাজনীতিবিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর৷ তাই নতুন বছরে তার প্রত্যাশা,‘‘দেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে আসুক৷ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ আর এই মালিকানা ফিরে পেতে আমি দেশের জনগণের পক্ষে থাকব৷”


আর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ দেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চান৷ তার মতে,‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি তিনি চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায়৷ কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি নানাভাবে এই উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়৷ তারা চায় বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে৷ সেটা যেন না হয়৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেন আরো এগিয়ে যায় নতুন বছরে এটাই আমার চাওয়া৷”

প্রাগ
চেকিয়ার রাজধানী প্রাগে আশেপাশের পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করা হয় আতশ৷ আপেল কেটে প্রাগবাসী বরণ করেন নতুন বছর৷ যদি আপেলের মাঝখানে তারার আকৃতি পাওয়া যায়, সেটিকে সৌভাগ্যে প্রতীক বিবেচনা করা হয়৷


তবে স্থিতিশীলতা আইনের শাসনের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান৷ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে মানুষের অনেক চাওয়াই পুরণ হবে বলে মনে করেন তিনি৷ আর এরজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা৷ তিনি বলেন,‘‘আইনের শাসন দুর্বল থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে পড়ে৷ মানবাধিকার, সুশাসন , জনগণের নিরাপত্তা সবখানেই এর প্রভাব পড়ে৷ এটা যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, জীবন সবখানেই স্থিতিশীলতা চলে আসবে৷”

রোম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিস্টানরা জড়ো হন ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটারস স্কয়ারের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রোতে৷ সেইন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় পোপ নিজে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে৷ এই উদযাপনের টিকেট পাওয়া যায় বিনামূল্যে৷ কিন্তু আসন সীমিত, কেবল ১০ হাজার৷


বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে এই নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা বোধ তৈরির পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিইটউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম৷ তিনি বলেন,‘‘আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে অস্থিরতা চলছে৷ যা মানুষকে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার বোধে আক্রান্ত করছে৷ মানুষ এখন আরো কি খারাপ হতে পারে সেই চিন্তা করছে৷” ডয়েচে ভেলে

ব্রাজিলের এই শহরটিতে নতুন বছরের মধ্যরাত বেশ রোমান্টিক৷ সাগরের ওপরে শোভা পায় আতশবাজি৷ মানুষ পানিতে ফুল ও মোমবাতি ভাসিয়ে নতুন বছরে স্বাগত জানায়৷ সৈকতের পার্টিগুলোতে সাম্বা হচ্ছে মূল আকর্ষণ৷ ব্রাজিলিয়রা মনে করেন, নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তে সাদা পোশাক পরলে, তা সৌভাগ্য বয়ে আনে৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে