আজ নদী যোদ্ধা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শহীদ আসাদ পরিষদের আলোচনা সভা

0
468
১৯৭৬ সালের মে মাসে মাওলানা ভাসানী রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত 'ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ' করেছিলেন।

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ (নোঙরনিউজ) ; মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এ উপলক্ষ্যে আজ ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা মঞ্চে ‘কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হবে।

দেশ বরেণ্য রাজনীতিক, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সহীদ আসাদ পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলে স্থানীয় প্রশাসন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি করছে।

১৮৮০ সালে ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর। জীবনের প্রায় পুরো সময় কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখান থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পূঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের। তৎকালীণ আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাসানী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির অত্যাচার নীপিড়নের বিরুদ্ধে সবসময় ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।

মওলানা ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

নদী সুরক্ষায় ভাসানীর সবচেয়ে বড় অবদান অবশ্য ফারাক্কা ইস্যুতে আন্দোলন। ১৯৭৬ সালের মে মাসে তিনি রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত ‘ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ’ করেছিলেন। ওই কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ফারাক্কা ইস্যুতে আলোড়ন তুলেছিল। পরবর্তীতে, মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর, তার তথাকথিত অনুসারীদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ মেটাতে গিয়ে ওই আন্দোলন কক্ষচ্যুত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে