ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর সড়কে বাঁশের ঠেকনায় দাঁড়িয়ে আছে ৩৫ বছর আগের ব্রিজ

0
333

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর সড়কে ৩৫-৩৬ বছর আগে নির্মিত একটি ব্রিজ ঐ সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত করছে। তাছাড়া ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ। ব্রিজের নিচে বাঁশের ঠেকা দিয়ে রাখা হয়েছে। চার-পাঁচদিন আগে এর ছাদও ভেঙে পড়ে। এরপর ২১ জানুয়ারি দিনভর সরাসরি যান চলাচল বন্ধ থাকে এই সড়ক দিয়ে। ঐদিন বিকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) স্টিলের প্লেট বসিয়ে ব্রিজটি মেরামত করে। এর আগে তিন-চার দিন ধরে ব্রিজের ভাঙা অংশের একপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে যাত্রী নামিয়ে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গাছতলায় বদগনী খালের ওপর এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে তিন যুগ আগে। তখন মূলত খাল পাড়ি দিতেই এই ব্রিজটি কাজে লাগত এলাকার মানুষের। কয়েক বছর আগে জেলা সদরের সঙ্গে নবীনগর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হওয়ার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো, মাইক্রো, মিনি ট্রাক চলাচল শুরু হয় এ পথে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নানা যানবাহনের চাপ বাড়ে সড়কে। এর মধ্যে মালবোঝাই বড়ো ট্রাক, ইট-বালু বোঝাই ট্রাকটরও চলতে শুরু করে। কিন্তু কয়েক টন ওজন নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্রিজ অল্প কদিনেই নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ৪৭ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ বর্তমান সড়কের সঙ্গেও বেমানান। সরু হওয়ায় যানবাহন একমুখী চলাচল করতে পারে শুধু।

গাছতলা গ্রামের সাদেক মিয়া জানান, প্রতি রাতে বড়ো ট্রাক চলে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। বালু ও পাথর নিয়ে ১০/১৫টি ট্রাক প্রতি রাতে ব্রিজ পার হয়। সে কারণেই এটি ভেঙে পড়ছে। সাদেক আরো জানান, ব্রিজটি অনেক আগের। তারপরও চলছে এতদিন, মানুষ আর ছোটোখাটো গাড়িঘোড়া চলাচল করছে বলে। নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া জানান, ব্রিজটিতে চার দিন আগেই ভাঙন দেখা দেয়। পরে ভাঙন বড়ো হয়। ব্রিজটির অবস্থা ভালো না, সেটি তারা এক বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টিতে আনেন বলেও জানান তিনি।

এলজিইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন স্টিলের প্লেট বসিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করছি। ব্রিজটি রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই লিখছি। এটি উপজেলা রোড। আমাদের ব্রিজ রিপ্লেসমেন্ট একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্প ছাড়াও অন্য প্রকল্প থেকেও আমরা ব্রিজটি করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দুই-তিন মাসের মাধ্যে কোনো প্রকল্প থেকে ব্রিজটির কাজ শুরু করতে পারব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর সড়কের বদগনী খালের ওপর থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ —ইত্তেফাক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে