যে কোন দূর্যোগ সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াবেই : দর্পন জামিল

0
405

সোমবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, (নোঙরনিউজ) দর্পন জামিল : এমন নিবেদিত কিছু প্রান সংগে থাকলে,যে কোন মহাদূর্যোগ জয় করা সম্ভব। যা আবার তারা প্রমান করেছে। আমি আমার মেহেরপুর সহযাত্রী ভাই বোনদের কথা বলছি।

এবারের মেহেরপুর যাত্রা ছিল দুর্গম ও কষ্টসাধ্য, এতটা দুরের পথ, অথচ যাওয়ার মত যাবতীয় পথ খরচ আমাদের হাতে ছিলনা। এর জন্য আমি নিজেকে দায়ী করছি। আমার ভাবনা ছিল পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সংগে না নিলে, শীতার্থ এলাকা থেকে মনভার করে ফিরে আসতে হবে। তাই হাতে যা ছিল,সমস্তটাই শীতবস্ত্র কিনে ফেলেছি। এতে দুইটা মানুষ বেশি হলেও তো হাতে শীতবস্ত্র পেল!এতে করে আমাদের ভলানটিয়ার রা তাদের যাবতীয় খরচ কোনরকম উচ্চবাচ্য না করে হাসি মুখে তাদের নিজ দায়িত্যে নিল।একটু কষটসাধ্য হলেও তারা তা বহন করেছে। শুধু তাই নয়, পথিমধ্যেই আমাদের চারবার যানবাহন বদল করতে হয়েছে, প্রতিবারই ওরা বিরক্ত না হয়ে নিবেদিত চিত্তে হাসিমুখে ওদের নিজ নিজ দায়িত্য পালনে অব্যহত থেকেছে। আমি ধন্যবাদ দিয়ে তোমাদের ছোট করবনা। তবে এতটুকু বলবই যে অন্তরের অনতসহলে জমানো আছে তোমাদের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা, ও সরগ্ শিশুদের পক্ষ থেকে অসীম দোয়া। শিশুদের ইচ্ছাটা যে তোমাদের দ্বারাই পূরন হয়েছে।

একটা বিষয় ব্যাক্ষা করাটা আমরা অতীব জরুরী বলে মনে করছি।আমরা মেহেরপুর শহর থেকে ৪৫ কি:মি: দুরে অবস্হিত ফতেহপুর নামক জায়গায় ফকির দৌলত শাহ্(জয় গুরু)এর দরগাহ আশ্রম এ অবস্হান নেই।শান্ত ভৈরব নদীর তীর এর মানষগুলোর ব্যবহার ছিল সত্যিই অসাধারন ও অমায়ীক।আমরা টানা আড়াই দিন/রাত সেখানে অবস্হান করি।এই টানা কয়েকদিন এর উষ্ম আতিথীয়তা ও নিবীর আপ্যায়ন আমাদের বিমহিত করেছে।দরগাহ এর মূল খাদেম বাবুভাই(জয় গুরু)ও ফকির দৌলত শাহ্জীর ভক্ত মুরিদ গুরু ফকির আলী হোসেনভাই(জয় গুরু)কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করছি।পাশাপাশি আমাদের সবার মন জয় করা একটা সরল মানুষ সেবক জয়নালভাইকে আমাদের আন্তরিক ভালোবাসা জ্ঞ্যাপন করছি।অনেক মিস করছি তোমারে জয়নালভাই।তুমি দিনরাত সারাক্ষন আমাদের পাশে ছায়ার মত থেকেছ।কোথাও সামান্যতম সমস্যা হতে দাওনি।তোমাদের সার্বিক সহযোগীতা পেয়েছি বলেই আমাদের শীতবস্ত্র বিতরন মিশন মেহেরপুর সার্থক ও সহজতর হয়েছে!

এছাড়াও আমরা উল্লেখিত আশ্রম এ একটি অবৈতনিক দূসহ শিশুদের পাঠশালা স্হাপন করার যাবতীয় সহযোগীতা করার পূর্ন আস্বাস দিয়ে এসেছি। এই বিষয়ে, আমাদের সবার খুব পছন্দের ভাবী(বাবু ভাই এর স্ত্রী)উনার আন্তরিক ইচ্ছা পোষন করেন।উনি বর্তমান একটা সহানীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিযুক্ত আছেন।

তাই নতুন সব সম্পর্ক গুলো,নতুন কিছু মানবিক ও কল্যাণমূলক কিছু সৃষ্টি করার আদর্শ পথ উন্মুক্ত করুক,এটাই হোক আমাদের মূল প্রত্যাশা।

আমি আমার সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ কে জানাই অশেষ ধন্যবাদ, যে সবাই সুস্হ ভাবে নিজ নিজ ঘরে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছি।

আমি আমাদের সবার আদরের ছোটবোন তানজীন অন্তি(মূল পরিকল্পনা ও সমননয়কারী)কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি।যথার্থ সময়ে শিশুসরগ্ আমার পাঠশালা কর্তৃক গৃহীত,একটা মানবীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।যার বদৌলতে এই মহান বিজয়ের মাসে,আমরা দূসহ কিছু শিশুদের মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছি।

আমরা জানি এবং মানি-মানুষ যে কোন দূর্যোগ সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াবেই..
কারন”মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য”..জয় বাংলা,জয় হোক সকল দূসহ ও মেহনতি জনতার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে