নদীগুলোর উভয় তীরে ২২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে: নৌপরিবহন মন্ত্রী

0
438

রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নদী রক্ষায় বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনঃদখল হয়ে না যায় সেলক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি নদী রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ রবিবার ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরে ‘নদ-নদী রক্ষায় আইনের প্রয়োগ এবং উন্নয়ন বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বিশ্ব নদী দিবসের প্রেক্ষাপটে এ সেমিনারের আয়োজন করে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুল জলিল, নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এবং নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সাড়ে নয় হাজার সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে, আরো ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। এই নদীগুলোর তীরে প্রায় দশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৫০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল হয়ে না যায়, সেজন্য ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ অক্টোবরে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ওই নদীগুলোর উভয় তীরে ২২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।

শাজাহান খান বলেন, নদী তীরে বনায়ন ও সুন্দর পরিবেশের জন্য ঢাকার শ্যামপুর ও নারায়ণগঞ্জে দু’টি ইকোপার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে। আশুলিয়া, সিন্নিরটেক ও টঙ্গিতে আরো তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর অযত্ন অবেহেলায় ২০ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। নদী খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য ৭টি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের জন্য ১৬টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের ওপর জোর দিয়ে (২০০৯-১৩) মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএর জন্য ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেন। (২০১৪-২০১৯) মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নদী হত্যাকারী ও দখলকারীরা এ যুগের ‘রাজাকার’। তিনি নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে