‘আসলে মনে মনে ওরা মেয়েটাকে রেপ করল’ : নচিকেতা

0
637

কলকাতা, ২ মে, ২০১৮ (নোঙরনিউজ ডেস্ক) : ক্রোধের ঝড় থামেনি। প্রতিবাদের ঢেউ আরও তীব্র হয়েছে। হতবাক হওয়া তো এখনও অনেকটাই বাকি! শহরের গণ্ডি ছাপিয়ে তা পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তথাকথিত আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে এখনও এ ভাবে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-মারধরের শিকার হতে হবে? শুধুমাত্র একে অপরের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের জন্য? নীতি পুলিশের চোখরাঙানি এড়িয়ে যাওয়া কি সহজ? এ কোন সময়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আমরা? মেট্রোতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ‘অপরাধে’ সোমবার গণপ্রহার জুটেছে শহরের এক যুগলের। ফেসবুক লাইভে এসে সে ঘটনার প্রসঙ্গে মন খুলে নিজের মতামত দিলেন নচিকেতা। সঙ্গে রইলেন আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উজ্জ্বল চক্রবর্তী।

ক্ষুব্ধ নচিকেতা কখনও বলেন, “আসলে এটা যৌন ঈর্ষার বহিঃপ্রকাশ।” কখনও তাঁর বক্তব্য, “এই মানুষদের বয়কট করুন প্রতিবেশীরা। তাঁদের জানানো হোক, আপনি একটি পবিত্র অনুভূতিকে নষ্ট করেছেন।” ভবিষ্যৎ সময়ের দিকে তাকিয়ে ওই মানুষদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “নিজেদের সংশোধন করুন। কারণ, যে তালিবানেরা বুদ্ধ মূর্তি ভেঙেছিল, তাঁদের থেকে খুব কম অপরাধ নয় এটা।”

কিন্তু, কেন এ রকম ঘটনা ঘটল? নচিকেতার মতে, “আসলে ওঁরা (ওই যুগল) দুর্বল ছিল। ওই ছেলেটার কোমরেই যদি পিস্তল গোঁজা থাকত… তা হলে…।” না! তা হলে বোধহয় এ রকম ঘটনা ঘটত না। “উল্টে ওই মানুষেরাই দৌড়ে পালাত।” নচিকেতার মতে, এটা আসলে ক্ষমতার জোর দেখানোর ফল। “…এটাই আসলে এক ধরনের মৌলবাদ। এর একটা যোগ্য জবাব দেওয়া উচিত।” কারণ, তাঁর কথায়, “যে মানুষেরা ওই মেয়েটির গায়ে হাত দিল, তারা আসলে মারল না। আসলে ওই মেয়েটিকে ওরা মনে মনে রেপ করল। সেটা মার হয়ে বেরোল। এই প্রত্যেকটা লোক আসলে রেপিস্ট। ওদের খুঁজে বার করে থানায় নিয়ে আসা উচিত।” আনন্দবাজার পত্রিকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে