মাতামুহুরী নদী খনন শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

0
1061

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ (নোঙরনিউজ) : মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল বান্দরবানের আলীকদম থেকে বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থল কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী চ্যানেল পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার চর ভরাট এলাকায় খাল খনন ও নদীর দু’তীরের বাঁধবিহীন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২২ কোটি টাকা।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আলীকদম-লামা, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার নদীর দু’তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ মানুষ। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাবে শতশত কোটি টাকার সহায় সম্পদ। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) বিভাগের বদরখালী সাব-ডিভিশনের এস.ডি ঈমান আলী জানান, প্রকল্পটির সার সংক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ ছাড় পেলে আগামী অর্থ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করা হবে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা এসএম তারেক বিন ছগির জানান, কক্সবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডার সমূহের পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মাতামুহুরী নদীর হাজীপাড়ায় ৬’শ মিটার, কৈয়ারবিলে ৪’শ মিটার, বেতুয়া এলাকায় এক হাজার মিটার, সেকান্দর পাড়ায় ৫’শ মিটার ও আবদুল বারি পাাড়ায় ৫’শ মিটারসহ মোট তিন কিলোমিটার এলাকায় খাল খননের জন্য ৭ কোটি ৬১ লাখ ৮ হাজার ৯১০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস নেশান টেক (জেভি)। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। আগামী ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল কাজ সমাপ্তির দিন ধার্য করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরে বশির সয়লাব জানান, হাজীপাড়া এলাকায় ৬’শ মিটার খাল খনন কাজ শুরু করেছে। প্রায় ৩’শ মিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩’শ মিটার খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সিডিউল অনুযায়ী ৬’শ মিটার দৈর্ঘ্য, ৬০ মিটার প্রস্থ ও ১ থেকে ৩ মিটার গভীর করে এ খনন কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কাজের সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। বৃষ্টি না হলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি বলেন, শুষ্কু মৌসুমে মাতামুহুরী নদী চার উপজেলার ১০ লাখ মানুষের আশীর্বাদ হলেও বর্ষা মৌসুমে হয় অভিশাপ। তাই তিনি গত সাড়ে ৪ বছরে সমুদ্র উপকূলবর্তী ও মাতামুহুরী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ এবং প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য প্রায় ৪’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সি.সি ব্লক তৈরীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের কাজও চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে