মাদারীপুর শহরের খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা

0
502

মাদারীপুর শহরের পাশের খালটি ভরাট করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে ভুমিদস্যুরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলেও চলমান রয়েছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম। অবশ্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস জানায়, অবৈধ দলখদারদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর শিগগিরই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুনরায় খালটি খননের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।

মাদারীপুর শহরের কোলঘেঁসে পুরনো ট্রলারঘাট থেকে শহরের কাঠপট্টি পর্যন্ত ৯০০ ফুট দীর্ঘ ও ৫০ ফুট প্রস্থ খালটির এখন নেই কোন অস্তিত্ব। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই খালটি দখলদারদের হাতে। খাল ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে আধা পাকা, পাকাসহ বহুতল ভবন। খালটি ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় পুরো শহর তলিয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

দখলদাররা বলছেন, ‘ময়লা ও আবর্জনা পড়ে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। আর খালের আশপাশের লোকজন অনুমতি ছাড়াই দখলে নিয়েছেন পুরো খালটির।’

স্থানীয়রা বলেন, ‘এখানে আগে দোকান পাট ছিলো। এখন কিছুই নেই। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখানে বাড়ি-ঘর গড়ে ওঠেছে। আমরা চাই, এখানে খাল খনন হোক।’

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা জানান, কোন অনুমতি ছাড়াই প্রভাবশালীরা এই খালটি ভরাট করে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা।

মাদারীপুর পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, ‘খালটা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে বাড়ি-ঘড় উঠেছে। আমরা অবৈধ স্থাপনকারীদের তালিকা করেছি।’

খালটি উদ্ধার করে পুনরায় খননের মাধ্যমে এর নাব্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মোট ১০০ জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। তাদের উঠে যাবার জন্য নোটিশ দিয়েছি। কেউ কেউ অপত্তি করেছে। শেষমেশ আমরা তাদের উচ্ছেদ পরিকল্পনা করেছি।’

মাদারীপুর পৌরসভা, সদরের পাঁচখোলা ও রাস্তি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত এই খালটির পুরো অংশই ভরাট হয়ে গেছে। খালটির দখলকারী অন্তত ১শ’ জনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করে নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে