নাবিকের সমুদ্র কথন-৮৪ : ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ মাহমুদ

0
781

আজ বড়দিন, বা যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। খ্রিষ্টান ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঘুম ভেঙে গেল সকাল সোয়া পাঁচটায়, কোন এলার্ম দিয়ে ঘুমাইনি, কিন্তু অবচেতন মনে তথ্য জমা করা ছিল যে সকাল পাঁচটায় কার্গো শেষ হবে, হয়তো সেটাই আমাকে উঠিয়ে দিয়েছে। শুয়ে শুয়েই ফোন করে জানতে চাইলাম কার্গো শেষ হয়েছে কিনা, জানালো আরও মিনিট বিশেক লাগবে, পাইলট সাড়ে সাতটায়। আবার একটু লেপ মুরি দিলাম। ছটায় চীফ অফিসার এসে ক্যাবিনে ঠক ঠক করলো, প্রথাগত স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাড়াতাড়ি উঠে তার কাজ শেষ করে দিলাম। হাত মুখ ধুয়ে প্রস্তুত হয়ে ব্রিজে গেলাম সাতটায়। ব্রিজ খালি, ডিউটি অফিসার আবদুল, সে এরকম ছেলে না। তার সব কিছু নির্ভুল ও নিয়ম মাফিক। ওয়াকিটকি তে জানতে চাইলাম ব্রিজ খালি কেন? আবদুল জানালো সে নীচে এজেন্ট এর সাথে আছে, কিন্তু ব্রিজ এর কাজ সে আগেই সেরে রেখেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। যথা নিয়মে এমেরিকান পাইলট চলে আসল ১০ মিনিট আগে। জেটির সাথে আমাদের লম্বা সিঁড়ি লাগানো কিন্তু পাইলট আসলো নদীপথ দিয়ে বোটে করে। বোট থেকে রেডিও তে ডেকে আমাদের সিঁড়ি নামাতে বলল। আবদুল ব্যস্ত, কিন্তু ৮-১২টা ডিউটি অফিসার ‘বিশাল’ ডেকে চলে এসেছে। বিশাল গিয়ে পাইলট নিয়ে ব্রিজে চলে আসল। আবদুল এজেন্ট কে বিদায় করে নিচেই রয়ে গেল জাহাজ ছাড়ার কাজে। এজেন্ট নেমে যেতেই টার্মিনাল তার বিশাল সিঁড়ি ক্রেন দিয়ে উঠিয়ে নিলো আর তার সাথেই পাইলট এর কাছে অনুমতি চাইলাম ইঞ্জিন টেস্ট করার জন্য। ইঞ্জিন টেস্ট হয়ে গেলে আমরাও প্রস্তুত জাহাজ ছাড়ার জন্য। সামনে ও পেছনে একটি করে টাগ বোট বাধা হয়ে গেল, এখন আস্তে আস্তে সব বাধন খুলে দেয়া হবে, তারপর টাগ বোট প্রথমে জাহাজকে টেনে জেটির গা থেকে ১০-১৫ মিটার দূরে নিয়ে যাবে। জেটি থেকে জাহাজ সরতেই এবার আমাদের ইঞ্জিন ব্যাবহার করে বেড়িয়ে গেলাম।

গন্তব্য কাছেই, সাগরের দিকে না গিয়ে একটু উল্টো দিকে যাবো, ৩ কিমি পরেই একটি ছোট খাড়ির মত আছে, সেখানে কোন ভাবে নাক ঢুকিয়ে এঙ্কর করে দেব, আমাদের তেল নিতে হবে, নিজেদের জ্বালানী তেল। পাইলট সেই কালকের দুজনই এসেছে, একজন মহিলা আরেকজন পুরুষ। এ জাহাজ তাদের পরিচিত হয়ে গেছে, সবই জানে। জাহাজ চালিয়ে নিয়ে গেল আমাদের স্বল্পকালীন নোঙরে। জ্বালানী বাহি বার্জ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, ওদের সাথে কথা বলে নিলো পাইলট, বিদায় নেয়ার সময় জানিয়ে গেল যে আবার যখন পাইলট প্রয়োজন হবে আমরা দু ঘণ্টা আগে যাতে পাইলট কন্ট্রোল রুম কে জানাই। ব্রিজে বলে রাখলাম আগের বারের মত ঝামেলার দরকার নেই, আমাদের কোন তারাহুরাও নেই, সুতরাং জ্বালানী তেল ভরা শেষ হলেই যাতে পাইলট স্টেশন কে জানাই পাইলট দেয়ার জন্য। ক্ষুদা লেগে গিয়েছিল, নিচে এসে নাস্তা করলাম, চীফ অফিসার ও ডেক ক্রুরা ছুটিতে, মাত্র কার্গো শেষ হয়েছে। শুধু একজন সুকানি ডেক ওয়াচে আছে, বাকি সবাই বিশ্রামে। ইঞ্জিনিয়াররা সবাই ডেকে, জ্বালানী ভরার কাজটি তাদের। বাসায় ফোন করবো ভাবতে ভাবতে সময় পার হয়ে গেছে খেয়াল করিনি। আমাদের সাড়ে দশটায় মনে পড়েছে ফোন করার কথা। তাড়াতাড়ি ফোন করলাম, কিন্তু ততক্ষণে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়েছে। আমি ভিডিও কল করলে ‘ফেস টাইম’ ব্যবহার করি, এটির রিং এর আওয়াজ মনে হয় একটু ভিন্ন এবং এরন এর স্মৃতিতে এটা মনে হয় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে।

ফোনের আওয়াজ শুনেই সে নরে চড়ে বসেছে, মা লাইট জ্বালিয়ে দিয়েছে আর সে তার সীমিত ভাষা জ্ঞান নিয়ে বাবা সাথে কথোপকথন শুরু করেছে। কথোপকথন মানে হাসি বা লজ্জার অভিব্যক্তি, বাবা বাবা করা ও অতঃপর তার সংগীত প্রতিভা প্রদর্শন, কয়েকবার সারেগামা গেয়ে শুনানো। তার সারেগামা’র উচ্চারণ অনেক স্পষ্ট হয়েছে এবং এখন অনেক উচ্চস্বরে সেটা গায়, কিন্তু তার সংগীত প্রতিভার অধঃপতন ঘটেছে। তাকে বললাম যে তোমার সুর ঠিক হচ্ছেনা, যতবারই বলি সে আরও উঁচু গলায় সে গেয়ে শোনায়। এদিকে অনেক মেইল জমে গিয়েছে, সেগুলি পাঠাতে হবে, কিছু উত্তর দিতে হবে। সুতরাং তাকে বিদায় জানালাম আর সে আমাকে তার শেখা ডজন খানেক শব্দ ভাণ্ডারের একটি ‘টা টা’ দিয়ে বিদায় জানাল। ক্রিসমাস এর দিনে সব বন্ধ, আমাদের অফিস ও বন্ধ। এদিকে এই বন্দর থেকে বেড়িয়ে আমরা কোথায় যাবো তার কোন অফিসিয়াল নির্দেশ আসে নি। ফোন এ কথা হয়েছিল যে আমরা টেক্সাস এর আরেকটি বন্দরে যেতে পারি। ১১টার দিকে কমার্শিয়াল ম্যানেজার কে ফোন করলাম, বললাম বিকেলের মধ্যেই তেল নেয়া শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আমি এখনো কোন ভয়েজ অর্ডার পাইনি, সুতরাং আমি এখন কোন বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হব জানাও। তার ঘুমও মনে হয় পুরো হয়নি, বলে ক্যাপ্টেন এটা কোন জাহাজ? আমি আমার জাহাজের নাম বলে বললাম আমি কি করপাস-ক্রিস্টি রওনা হব? তুমি শেষ বার আমাকে ফোনে বলেছিলে আমাদের লোডিং করপাস ক্রিস্টি তে হতে পারে। সে ঘুম জড়িত কণ্ঠে বলে দিল, আচ্ছা করপাস ক্রিস্টির দিকেই রওনা হয়ে যাও।

এর পর বন্ধুদের সাথে হোয়াটসাপএ তর্ক যুদ্ধ। বিষয়বস্তু ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলা ঠিক না বেঠিক। অনেকেরই বক্তব্য এটা বলা নাকি ঠিক না, যদি বলতেই হয় “সুখী ছুটির দিন” বা ‘হ্যাপি হলিডে’ নাকি বলা যায়। অনেকেই আমাকে ঈদ মুবারক বলে, যারা ঈদ ও মুবারক শব্দের মানেও জানেনা, তারা বলে একজন বন্ধু’র আনন্দে তাকে উৎসাহিত করার জন্য বা তার আনন্দে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য। এতে খারাপ কি থাকতে পারে সেটা মাথায় ঢুকল না। আমার জাহাজে অধিকাংশই ক্রিস্টিয়ান, ক্যাপ্টেন হই আর অন্য যেকোনো পদেই আমি আসীন থাকি, তাদের সবাইকে আমার হাত মিলিয়ে ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলতে হবে, কিন্তু এটাও নাকি ক্ষতিকর। যে যাই বলুক আমাকে তো করতেই হবে, নীচে গিয়ে সবার সাথে দেখা করলাম, হাত মেলালাম, একই আন্তরিকতার সাথে মেরি ক্রিসমাস বললাম, যে রকম আন্তরিকতা নিয়ে তারা আমাদের ঈদ মুবারক বা হ্যাপি দিওয়ালী বলে। সকালে মাত্র কার্গো শেষ হয়েছে, এর পর বাংকারিং মানে তেল নেয়া, এই ব্যস্ততার মাঝে বড়দিন এর পার্টি হবে না। সেটা কালকে করব বলে দিয়েছি, তার পরও শুভেচ্ছা তো জানাতেই হবে। চিন্তা করলাম বাংলাদেশেও তো অনেক দেশী বিদেশী অমুসলিম আছে। তারা ঈদের মধ্যে দেখা হলে ঈদ মুবারক বলে, আবার মোবাইলে বা ফেসবুকে মেসেজ পাঠায় ‘ঈদ মুবারক’। এরা না পাঠালেও তেমন কিছু করার নেই, কিন্তু এরা যদি মেসেজ পাঠায় “ বন্ধু সুখের ছুটির দিন” সত্যি আমি তাদের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে দেব। কোন বিধর্মি বন্ধু যদি আমাকে এই সামান্য মৌখিক শুভেচ্ছা টুকু জানাতে দ্বিধা বোধ করে, এতো গবেষণা করে তাহলে অবশ্যই আমি তাদের ভয় করব, সে ধর্মের ফোবিয়াতে আক্রান্ত হব।

রাতে ঘুম পুরো হয় নি, তাই দুপুরের পরেই ঘুম দিলাম। তেল নেয়া শেষ হলে যাত্রা শুরু হবে, প্রায় দীর্ঘ ৭-৮ ঘণ্টার পাইলটেজ শুরু হবে, সুতরাং বিশ্রাম প্রয়োজন। তিনটা বাজে ঘুম থেকে উঠে শুনলাম তেল নেয়া শেষ হয়ে গিয়েছে এবং পাইলট সোয়া চারটায়। সোয়া চারটায় পাইলট চলে আসলো, কিন্তু এবার অন্য সমস্যা। আমার চীফ ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে বাঙ্কার জাহাজের কাগজপত্রের ঝামেলা। চীফ ইঞ্জিনিয়ার এভাবে চাচ্ছে, ওরা সে ভাবে চাচ্ছেনা। এসব জাহাজে তেল নিয়ে সবচেয়ে বড় ঝামেলা হয় হল তেল এর পরিমাণ নিয়ে। এমেরিকাতে এই সমস্যা কখনোই হয় না, এপর্যন্ত যে কবার নিয়েছি, আমরা আমাদের হিসেব চেয়ে বেশী পেয়েছি। এবারেও তাই, পরিমাণ আমরা বেশী পেয়েছি। চীফ ইঞ্জিনিয়ার তার অবস্থান নিয়ে দৃঢ়, এভাবেই আমাকে রিসিপ্ট দিতে হবে। তেলওয়ালা বলছে সে তার অফিসে ফোন করেছে, তাদের উত্তরের অপেক্ষায়। কিন্তু আজকে ক্রিসমাস এর দিনে কে অফিসে আছে, কখন উত্তর দেবে, এসব নিয়ে চিন্তিত। পাঁচটা বাজে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে বললাম ও যা দিচ্ছে তা নিয়ে নাও। এসব নিয়ে ঝামেলা করে আমি দেরী করতে চাইনা, পাইলটরাও বিরক্ত হয়ে গেছে এসব ব্যাপারে। আমি বাঙ্কার বা জ্বালানী তেল এর জাহাজের ক্যাপ্টেন কে বলে দিলাম যে তোমার অপেক্ষা করার দরকার নেই, আমরা কাগজ বা ডেলিভারি নোট সাইন করে দিচ্ছি। অনেকটা গলা ধাক্কা দিয়ে বিদায় করলাম তাদের, করেই নোঙর তুলে ফেলে রওনা হলাম সমুদ্র সঙ্গমে।

সেই একই নিয়ম, এক পাইলট নদীপথ শেষে নেমে যাবে, অপরজন নিয়ে যাবে বহির্নোঙ্গর পর্যন্ত। আজকেও তাপমাত্রা ৬-৭ এর মত, ব্রিজের ভেতরের হিটার অন করে দিলাম। রাতের অন্ধকারে নদিকে মনে হচ্ছে কালো আনাকোন্ডার মত এগিয়ে গেছে আর আমরা গুবরে পোকার মত এর গা বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সাগরের দিকে। নটার দিকে নেমে গেল একজন পাইলট, রয়ে গেল আরেকজন। আমি চাচ্ছি যত দ্রুত বেড়িয়ে যেতে, পাইলট নেমে গেলেই আমার শান্তি, ক্যাবিনে যেতে পারবো প্রায় আট ঘণ্টা ব্রিজে পায়চারি করার পর। মোহনা দিয়ে বেরুবোর পর শুরু দুই পাশে বয়া দেয়া গভীর জলপথ যেটা শুধু জাহাজ চলাচলের জন্য নির্ধারিত। এই দুই সারি বয়া’র ভেতর দিয়ে এগিয়ে যতে হয় প্রণালীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। এই অগভীর জলপথে এখনো ভরসা আমাদের চোখ, এখানে জিপিএস বা র‍্যাডার যাই বলুক না কেন, দুই পাশে বয়া রেখে আমরা এগুব বাইরের দিকে, আবার একই প্রণালি দিয়ে বাইরে থেকে জাহাজ আসবে ভেতরের দিকে। বহির্গামী জাহাজ ও ভেতরের দিকে আসা জাহাজের পাইলটরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে, কে কোন পাশে থাকবে আগেই নির্ধারণ করে নেয়। আমি ব্রিজ এর বাইরে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য, ভেতরে আসতেই পাইলট বলল তুমি ক্যাপ্টেন ক্রিস্টিন কে চেন?

আমি বললাম ঠিক মনে করতে পারছি না। সে বলল কালকে তোমাদের যে নিয়ে এসেছে, সেই ছোট খাট মহিলা’র নাম ক্যাপ্টেন ক্রিস্টিন। তারপর র‍্যাডারে ভেতরগামি একটি জাহাজ দেখিয়ে বলল ক্যাপ্টেন ক্রিস্টিন এই জাহাজ নিয়ে ভেতরে আসছে, আমি এ জাহাজে আছি দেখে বলল তোমাকে তার শুভেচ্ছা জানাতে। আমিও তাকে বললাম আমার তরফ থেকে ক্রিস্টিন কে শুভেচ্ছা জানিয়ে দাও। আর মনে পড়ল কালকে আমাদের সেই টেক্সাস-রোড হাউসের মেয়েটির নামও ক্রিস্টিন ছিল। সোয়া এগারটা বাজে পাইলট এর নামার সময় হল। আবারো মেরি ক্রিসমাস জানিয়ে বিদায় নিলো, সাথে সবার মত জানিয়ে গেল জে আমার জাহাজটি আসলেই খুব সুন্দর, সে আশা রাখে আবার সে এই জাহাজ নিয়ে ভেতরে যাবে। জানিনা এটা কথার কথা বলে কিনা, কিন্তু এপর্যন্ত সকল পাইলটি এ কথাটি বলে গেছে। সাধারণত বড় জাহাজ নেভিগেট করা কিছু ঝামেলার ব্যাপার, বড় জাহাজ কথা শুনতে চায় না। এবং আসলেই এই জাহাজের ন্যাভিগেশন আনন্দদায়ক, পাইলট রা প্রতিদিন বিভিন্ন জাহাজ চালিয়ে অভ্যস্ত, তারা এই ব্যাপার গুলি খুব বোঝে, তাদের কাছে জাহাজের কন্ট্রোল সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোন জাহাজ জলপথে ভালো আচরণ করলে তারা মনে রাখে, বিশেষ করে আমাদের এই জাহাজের মত দানব গুলি যখন সব কথা মেনে চলে সেটা আসলেই আনন্দের।

পাইলট নেমে যাবার সাথে সাথে শেষ হল আমাদের এই ভয়েজ, পাইলট নামার সময় পর্যন্ত সমস্ত সময় সূচি জানিয়ে এজেন্ট ও সংশ্লিষ্ট সকলকে মেইল করে দিলাম। আমরা এর পরেও আরও আট ঘণ্টা সেফটি ফেয়ারওয়ে দিয়ে যাবো। মাকড়সার জালের ভেতরে আকা নিরপদ জলপথ, যতক্ষণ এই পথে থাকবে, ব্রিজে দুজন অফিসার থাকতে হবে, জাহাজ হাতে চালাতে হবে, মানে অটো পাইলটে চালানো যাবেনা, ইঞ্জিন রুমে দুজন অফিসার থাকতে হবে। যখন এরকম দুজন অফিসার থাকতে হয় তখন অফিসারদের ওয়াচ ৪ ঘণ্টার বদলে ৬ ঘণ্টা করে হয়ে যায়। রাত বারটায় জেরি আসবে, কিন্তু বিশাল আরও দু ঘণ্টা মানে ২টা পর্যন্ত থাকবে। দুটা বাজে আবদুল আসবে, আর জেরি ১২ টা থেকে ছটা পর্যন্ত থাকবে। আলী আমার সাথে ব্রিজে ছিল ছ ঘণ্টা, তাই ওকে আর এখন জাগানো হবে না, সকাল ৬টায় আলী আসবে। এভাবে সব বুঝিয়ে আমার নাইট অর্ডার লিখলাম। রাত বারটায় দেয়া হল ‘ফুল এওয়ে’ শুরু হল যাত্রা, গন্তব্য করপাস-ক্রিস্টি, টেক্সাস, ইউএসএ। শুভ রাত্রি আজকের মত। (২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ভাসমান ৮৪ দিন: সোমবার)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে