আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ থাকা ১৬টি মিল চালুর উদ্যোগ

0
529
ফাইল ফটো

নীলফামারী, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭ (নোঙরনিউজ) : সরকার দেশের বন্ধ থাকা ১৬টি মিল প্রাইভেট- পাবলিক পাটর্নারশীপে (পিপিপি) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পিপিপি’র আওতায় তিনটি মিল চালুর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো চালু করা হবে।
সোমবার নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলে সূতা উৎপানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার বন্ধ থাকা রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সকল কলকারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো সচল করে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন,সরকারের একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলে সূতা উৎপাদনের কাজ শুরু হল। মিলটি সরকারি মালিকানায় থাকবে, বন্ধ থাকা ওই মিলটিতে ভাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূতা উৎপাদনের কাজ করবে। এতে করে এলাকার মানুষ হারিয়ে যাওয়া কর্মসংস্থান ফিরে পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, বিটিএমসির উপ মহাব্যবস্থাপক (বোর্ড ও আইন) কাজী ফিরোজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রাইভেট পাবলিক পাটর্নারশীপে দেশের বন্ধ থাকা ১৬টি মিল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তিনটি চালুর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো চালু হবে।’

মিলটির উপ মহাব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান জানান, সুতা উৎপাদনের জন্য মিলটি তিন বছরের ভাড়ায় নেয় নারায়নগঞ্জের আরকে ইয়ার্ন ট্রেডিং। মিলে সুতা উৎপাদনের সকল টাকু চালু হলে পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রথমবারের মতো ভাড়ায় এ মিলটিতে সূতা উৎপাদন শুরু হলো।

বিটিএমসি সূত্রমতে, ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল ওই মিলটি চালু হয়। এসময় থেকে মানসম্মত সুতা উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। মিলটিতে ২৫ হাজার ৫৬ জার্মান টাকু স্থাপনে সে সময়ে ব্যয় হয়েছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার টাকা। কর্মে নিয়োজিত ছিলেন ৭০৪ জন শ্রমিক, ৯৭ জন কর্মচারী ও ২৫ জন কর্মকর্তা।

মিলটি ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল এলাকায়। লোকসানের ভারে ১৯৯৫ সালে মিলটিতে উৎপাদন বন্ধ হয়। এরপর কয়েক দফায় সার্ভিসচার্জের চুক্তিতে একাধিক কোম্পানি এ মিলে সূতা উৎপাদনের কাজ করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে