আ. লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ঢাকার আদালতে ৬ জনের ফাঁসির রায়

0
416

ছয় বছর আগে ঢাকার শ্যামপুরে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার গাড়িচালককে হত্যার দায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার গাড়িচালক হারুনুর রশিদকে হত্যার দায়ে মঙ্গলবার এই রায় দেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন রায়হান খোকন, মো. হীরা, জাকির হোসেন, জাভেদ প্রিন্স, মো. জুম্মন ও আরিফ হোসেন। এদের মধ্যে রায়হান ও হীরা পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

রায়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় দুই আসামিকে। তারা হলেন- শরীফুল ইসলাম ও কালা আমির। এই দুজনই পলাতক।

রায় শুনে দণ্ডিতরা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন।

নিহত মোহাম্মদ উল্লাহর স্ত্রী মামলার বাদী মোসাম্মৎ কোহিনূর বেগমও এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাঁদতে থাকেন তার মেয়েও।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার আসামি শাহ আলম প্রধান, শফিকুল আলম সুমন, মো. ইমন ও মো. মিলনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “শাহ আলম প্রধান, শফিকুল আলম সুমন মামলার শুরু থেকে রায় ঘোষণার দিন পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। তারা যে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, রায়ে সেটা প্রমাণিত হল। এখন এই দুজনের এত বছর কারাবাসের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?”

একটি বাড়ির দখলকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শ্যামপুর থানার জুরাইনে খুন হন মোহাম্মদ উল্লাহ ও হারুন।

এ ঘটনায় কদমতলী থানায় মামলা হলে তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর রায়হান খোকনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

প্রধান আসামি রায়হান খোকন গ্রেপ্তার হন ২০১১ সালের ২৭ মার্চ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কোনো আদালত থেকেই জামিন পাননি তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষে ৫৬ জনের মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারিক আদালতের এই রায় হল।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারকাজ থেমে ছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে