থার্টি ফাস্ট নাইটঃ পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

    0
    501

    {CAPTION}

    সন্ধ্যা সাতটার কাঁটা তখনো ছুঁই ছুঁই কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে সব দোকান-পাট। মূল সড়ক বাদ দিয়ে পাড়া-মহল্লার সব রাস্তাঘাটও বন্ধ। যার প্রভাবে সারা ঢাকায় তীব্র যানজট, কোথাও কোথাও ২-৩ ঘন্টাও আটকে থাকতে হচ্ছে ভুক্তভোগী যাত্রীদের। অসহনীয় জ্যাম এড়াতে অনেককে নারী-শিশু ও অসুস্থ রোগী নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চাকুরীজীবী শর্মিলা হাসান এক ঘন্টা ফ্লাইওভারে বসে অগ্যতা হেটেঁই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। তিনি বেশ ক্ষোভের সাথে বললেন- ‘বাসাবো থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার আসতে দেড় ঘন্টা, শুধু ফ্লাইওভারে এক ঘন্টা! এখন বাধ্য হয়ে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাটঁতে হচ্ছে।’
    ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আগেই বলেছেন- যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ঢাকায় মোতায়েন থাকবে দশ হাজারেরও বেশী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। ঢাকার সব বার বন্ধেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সকল প্রকার পটকা-আতঁশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করতে বলা হয়েছে সব আউটডোর অনুষ্ঠান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন- ‘গতবার থার্টি ফাস্টে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটায় এবার এই বিশেষ ব্যাবস্থা।’
    তবে উৎসাহী তরুণ-তরুণীর ভিড় দেখা গেছে রাস্তাঘাটে। অনেকে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন থার্টি ফাস্টের আমেজ নিতে। এই প্রতিবেদকের সাথে খিলগাঁও এলাকায় কথা হয় রেস্তোরা ব্যাবসায়ি আমজাদ হোসেনের সাথে। তিনি কিশোরী কন্যাকে নিয়ে বের হয়েছেন। তিনি বলেন- ‘গুলশান থেকে খিলগাঁও-এর বাসায় ফিরতে ৩ ঘন্টা লাগলো, এখন জরুরী ঔষধ কিনতে নেমে দেখি সব দোকান বন্ধ।’ সাময়িক অসুবিধাজনক পরিস্থিতির জন্য উষ্মা প্রকাশ করলেও পুলিশের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য তিনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    একটি উত্তর ত্যাগ

    আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
    এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে